৯৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর গত মাসে কানাডায় গাঁজা চাষ ও সেবনের বৈধতা দেয়া হয়। এতে দেশটির বেশ কয়েকটি কোম্পানি গাঁজা শিল্পে কোটি কোটি ডলার বিনোয়োগ করে। কিন্তু শ্রমিক স্বল্পতায় তাদের সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দেশটি গাঁজা চাষের জন্য বিদেশি শ্রমিক নেয়ার কথা ভাবছে।
ফিন্যানসিয়াল পোস্টের এক খবরে বলা হয়, দেশটির আফরিয়া ইনকর্পোরেটেড নামের একটি কোম্পানি গ্রিনহাউসে গাঁজা চাষ করে। কিন্তু শ্রমিক স্বল্পতায় কোম্পানি সম্প্রতি ক্যারিবীয় দ্বীপ ও গুয়েতেমালা থেকে ৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পরই আটজন কর্মী কাজ ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জানান, গরমকালে আর্দ্রতা চরমে থাকায় গ্রিন হাউসের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর। জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। দেশটিতে গাঁজা চাষ করা কোম্পানিগুলো ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় ২৫শ কর্মী নিয়োগ দিয়েছিলো।
কানাডার বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাঁজা চাষ করা সবচেয়ে বড় কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ করপোরেশনের এক হাজার দুইশ’ চাকরির পদ খালি রয়েছে।
সংস্থাটির হিসাবে, গাঁজা শিল্পের বিস্তারে আগামী এক বছরে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন পড়বে। সে ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি ব্যতীত কোনো উপায় নেই।