কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।
কর্নাটক রাজ্যের হিজাব বিতর্ক থামতে না থামতে তার ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল পশ্চিম বাংলার মুসলিম জনসংখ্যা প্রধান জেলা মুর্শিদাবাদের সুতিতে। এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার সুতিতে একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কালো ওড়না পরে আসতে মানা করেন ঐ ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনার কথা ছাত্র ও ছাত্রীদের বাবা ও মায়ের কাছে পৌঁছাতে আগুনে ঘৃত পড়ার মতো চারিদিকে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয় ঐ উচ্ছ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ঘিরে। উত্তেজিত অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষক কে তালা বন্ধ করে রাখে অফিস ঘরে। চলতে থাকে গণবিক্ষোভ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের সুতি থানার পুলিশ। তারা উত্তেজিত জনতার সাথে কথা বলে প্রধান শিক্ষক কে বের করে আনেন। এবং তার পর প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে ফের ইস্কুল খুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে সারা পশ্চিম বাংলায় হইচই পড়ে যায়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজেকে মুসলিম দরদী বলে জাহির করেন। এবং তাকে কেউ কেউ আদর করে ডাকেন মমতাজ। সেই পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে তা আশা করতে পারছেন না অভিভাবকরা। তাদের ক্ষোভ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ক্ষমতা নেয় বি জে পি সেখানে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় আঘাত হতে পারে। কিন্তু পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বি জে পি বিরোধী সেখানে কেমন করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে প্রশ্ন তুলেছেন। এবং তাদের ক্ষোভ যে পশ্চিম বাংলার জমিয়তে ওলামা হিন্দের সভাপতি জনাব সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তৃনমূল দলের নির্বাচিত সদস্য হয়ে পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী সভায় আছেন তাহলে তিনি কেন নীরব আছেন। সেই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের আরো ক্ষোভ যে এই মুর্শিদাবাদ জেলার তিন জন লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে দুই জন তৃনমূল দলের। একজন সদস্য হলেন জনাব আবু তাহের খান ও আরেক জন হলেন জনাব খলিলুর রহমান। এরা দুই জন শাসক তৃনমূল দলের লোকসভার সদস্য তারা যেমন ভারতের লোকসভায় হেজাব নিয়ে নিরব থেকে পরক্ষেই বি জে পি কে সমর্থন করেছেন। তেমনি পশ্চিম বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির ঘটনা নিয়ে চুপ করে থাকায় পরক্ষেই বি জে পি র হেজাব নিতির সমর্থন করেন বলে মনে করেন। আরেক জন লোকসভার সদস্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের তিনি কর্নাটক রাজ্যের হেজাব নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য বি জে পি র মুসলিম বিরোধী বলে দাবি করেন। এবং মুসলিম ছাত্রীদের হেজাব পরা নিয়ে সমর্থন করেন লোকসভার বিরোধী দলের নেতা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভার সদস্য শ্রী অধীর চৌধুরী। তবে আগামী দিনে হেজাব পরা নিয়ে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।।