কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ
লোককথায় বলে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়। এতদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দর বন লাগোয়া কুমিরমারী জঙ্গলে ও ঝড়খালীর জঙ্গল এবং কুলতলি জঙ্গলে বাঘের দেখা ও মাছ ধরতে যাওয়া ধীবরদের আক্রমণ করতো সুন্দর বনের বাঘ। কখনো দেখা যেত সুন্দর বনের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বাঘ। কখনো লোকালয়ে ঢুকে গরু ও ছাগল এবং মেষ কে মেরে দিত বাঘ। কখনো বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে গভীর সুন্দর বনের মধ্যে মাছ ও কাকড়া এবং মধু ভাঙতে যাওয়া মৌলদের তুলে নিয়ে গিয়েছে বাঘ। এবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সন্দেশ খালির মনিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় মিঠামানির বাসিন্দা সোহারাপ কারিগর সুন্দর বনের লাগোয়া মিঠামানির মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বাঘের সামনে পড়ে যায়। এবং বাঘ ও মানুষের যুদ্ধের পর আহত সোহারাপ কারিগর কে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশ খালি র হাসপাতালে। এদিন যখন সোহারাপ কারিগর মাঠে ঘাস কাট ছিলেন ঠিক সেই সময় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবার সুন্দর বনের লাগোয়া চিমটা নদী পার হয়ে মিঠামানির মাঠে ডুকে পড়ে এই বাঘ। এবং পিছন থেকে আক্রমণ করলে সোহারাপ কারিগর বাঘের মোকাবিলা করতে কাস্তে দিয়ে লড়াই করে। এবং চিৎকার করতে থাকে। ছুটে আসে স্হানীয় মানুষজন। বেগতিক দেখে বাঘ জঙ্গলে প্রবেশ করে। রক্তাক্ত সোহারাপ কারিগর কে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মিঠামানির মাঠে লুকিয়ে থাকা বাঘের খোঁজ করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে বন দপ্তরের কর্মকর্তারা। নদীর জোয়ার কুমে গেলে একটি ঝোপের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় সেই বাঘটিকে। তখন বন দপ্তরের কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে তাকে বাগে আনেন। এবং প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘটিকে ধরে বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়। একটু ভালো হলে বাঘকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে বার বার খাদ্যের খোঁজ করতে গভীর সুন্দর বন ছেড়ে কেন লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের।।