আজ থেকে এক দশক আগে যখন কলকাতার বুকে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র রিজানুর রহমানের মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ঝড় তুলেছিলেন তৎকালীন পশ্চিম বাংলার বিরোধী দলের নেত্রী ও তৃনমূল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেই খুনের ষড়যন্ত্র কারীদের এবং পুলিশ অফিসারদের শাস্তি তো দূরের কথা অনেকেই প্রমোশন পেয়ে বড় অফিসার হয়েছিল তৃনমূল দল ২০১১,সালে, ক্ষমতায় আসার পর। এবং ঔ রিজানুর রহমানের খুনের ষড়যন্ত্র কারীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল মাত্র। কিন্তু তাদেরকে জেলের চার দেওয়ালে মধ্যে বেশিদিন স্থায়ী থাকতে হয়নি অশোক টোডিদের। তারা আজ বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় কলকাতা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন যায়গায়। আজও মৃত রিজানুর রহমানের মা কলকাতার পাম্প এভিনিউ র বাড়িতে নিভৃতে কাদে। সেদিন কলকাতার বুকে গর্জে উঠেছিল সজ্জন ও শিল্পী কলাকুশলীরা এবং তাদের আন্দোলন কে হাইজ্যাক করে মাঠে নামেন পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। সেদিন কলকাতার বুকে ঝামেলা ও বাংলা বন্ধ হয়েছিল। এবং কলকাতার মল্লিক বাজারে বন্ধ করতে বোমা ফেলে দেয়। বহু মানুষ কে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি ও ট্রিয়ার গ্যাস ছোড়ে। আজ ঠিক এক দশক পরে কলকাতা আলিয়া ইউনিভার্সিটি র প্রতিবাদী ছাত্র কে গ্রেফতার করার নাম করে পুলিশের পোশাকে গিয়ে একতলা ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই খুনের প্রতিবাদে যখন সারা ভারতের সহ পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে ধিক্কার জানাচ্ছে। ঠিক তখনই পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা বসে আছেন। সহনোভূতী তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের বড় কোন নেতা তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। তৃনমূল দলের সুপ্রিমো এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুধুমাত্র এই কেসের আসামীদের ধরতে ১১,জনের, একটি কমিটি গঠন করেছে। এবং মৃত আনিসের পরিবারের প্রতি সড়নভুতী দেখিয়েছেন মাত্র। প্রায় ৪৮,ঘন্টা, পার হয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত অধরা প্রকৃত দোষীরা। এই খুনের ষড়যন্ত্র কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিতে আনিসের পরিবারের পক্ষ থেকে সি বি আই তদন্ত করার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। তবে এই খুনের ষড়যন্ত্র কারীদের সাথে তৃনমূল দলের দুস্কৃতিকারীদের যোগাযোগ আছে বলে মনে করছেন স্হানীয় মানুষজন। তাদের দাবি আনিসুর রহমান আলিয়া ইউনিভার্সিটি তে মুসলিম ছাত্রদের ন্যায় অধিকার নিয়ে লড়াই করতেন। সেটা শাসক শ্রেণীর ছাত্র সংগঠন ভালো চোখে দেখতেন না। তাই তাকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশের পোশাক পরে তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কলকাতা রিজানুর রহমানের মতো হতে চলেছে কি না তা দেখার বিষয়।।