ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের নির্দেশে এবং উস্হি থানার ওসি র তৎপরতায় গ্রেফতার মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের নেতা খুনের আসামি।।
আজ থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল তৃনমূল দলের যুব সভাপতি কে তার বাড়ির কাছে গুলি করে কিছু দুস্কৃতিকারী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্হার অবনতি হলে তাকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ জীবন যুদ্ধে হার মানতে হয় এই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের নেতা ও পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দর বন উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়্যারম্যান এবং ক্যানিং পশ্চিম এর বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ নেতা সুজাউদ্দিন গাজীর মৃত্যু হয়। এই কে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। নড়েচড়ে বসে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ ও ডায়মন্ডহারবার এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে এবং মগরাহাট ও উস্হি থানার আই সি শ্রী সুবীর বাগ এবং তৎকালীন উস্হি থানার ওসি বিশ্বজিৎ বাবু তদন্ত নেমে প্রথমে উত্তর কুসুম অঞ্চল এর জাহাঙ্গীর গড় থেকে শামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি কে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে নাম পায় এই খুনের সাথে জড়িত উত্তর কুসুম অঞ্চল এর দাগী দুস্কৃতি মোহাম্মদ লালচাঁদ লস্কর ও তার বাবা কে এবং মোহাম্মদ হবিবুর রহমান মোল্লা কে। এদের কে জেরা করে আরেক আসামি কে গ্রেফতার করা হয় সাগরের জম্বুদ্বীপ থেকে তার নাম মোহাম্মদ জাকির লস্কর। সেই সঙ্গে পলাতক আসামী মোহাম্মদ আজিবর মোল্লা কে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বর্তমানে উস্হি থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী মিলটন রক্ষিত। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ডায়মন্ডহারবার এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে এবং মগরাহাট থানা ও উস্হি থানার ভারপ্রাপ্ত সি আই শ্রী সুবীর বাগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কিছু দিন আগে উস্হি থানার পুলিশ পাড়ি দেয় দিল্লিতে । সেখান থেকে সুজাউদ্দিন গাজীর হত্যার আসামি মোহাম্মদ আজিবর মোল্লা কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। আজ মঙ্গলবার তাকে ডায়মন্ডহারবার এস ডি জি এম এর জেলা আদালতে তোলা হবে। এবং উস্হি থানার পক্ষ থেকে ধৃত মোহাম্মদ আজিবর মোল্লা কে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার জন্য রিট আবেদন করবে বলে জানা গেছে। তবে এই খুনের ঘটনায় জড়িত যখন ধরা হচ্ছে তখন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আম জনতা জানতে চাইছেন যে মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের নেতা সুজাউদ্দিন গাজীর মৃত্যুর আগে তাকে উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে ফেলতে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও সাবেক পশ্চিম বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী কে এবং মগরাহাট পশ্চিমের আই এন টি টি ইউ সি আই এর সভাপতি কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে তাদের দাবি অবিলম্বে মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের যুব তৃনমূল দলের নেতা সুজাউদ্দিন গাজীর মৃত্যুর আগে ফোনে হুমকি দেওয়া বিধায়ক ও মগরাহাট পশ্চিমের আই এন টি টি ইউ সি আই সভাপতি কে গ্রেফতার করতে হবে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের। তবেই তার আত্মার শান্তি পাবে।।