মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সদর রোডে শুক্রবার ৩ টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৯ কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। বাবুল লাইব্রেরী এন্ড অফসেট প্রেস, মদিনা রেস্টুরেন্ট, অশোক ইলেক্ট্রনিক্্র, অশোক স্টুডিও, মুক্তা স্টুডিও, অনুরাধা বিউটি পার্লার, এমকে জুয়েলার্স, লক্ষী নারায়ন জুয়েলার্স,বাংলাদেশ ফলভান্ডারসহ মোট ৮ টি দোকান ও দোকানের পিছনের বসতঘর পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ৩ টার দিকে লাইব্রেরীর পেছনের দিকে প্রথমে ধোঁয়া উড়তে দেখে চিৎকার দিলে লোকজন জেগে ওঠে কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও বামনার মোট ৪টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। তবে আগুন লাগার সূত্রপাত নিশ্চিত হতে না পারলেও একটি দোকানে বৈদ্যূতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান-পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ১০ জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৩ জন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা করে টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহামম্মদ ইব্রাহীম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহেল আহম্মেদ, জেলা আ‘লীগ সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম মিয়া, উপজেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, সহ সভাপতি আরিফ উল হক, জেলা পরিষদ সদস্য আজীম উল হক, উপজেলা আ‘লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল আলম ঝনো, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মনি ও স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুর রহমান প্রমূখ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া দোকানের ছবিসহ আবেদন করলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ও বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭দিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট পেশ করলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।