শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী  নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে” –মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিপিএম কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রবাসীর জমি থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ উঠেছে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসন যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে- ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

একজন মানবিক সম্পাদক Ruhul Quddus Kazal  এর মানবিক হওয়ার পেছনের গল্প!

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২, ১১.৩৭ পিএম
  • ১১৬ বার পঠিত

কেনো কম ফিস নিয়ে জুনিয়র আইনজীবীদের মামলা করি সেই হার্ট টাচিং গল্পটা আপনাদের জন্য

আচ্ছা আপনারা একজন আইনজীবী বলেন তো কোনোদিন কোনো আইনজীবী বলতে পারবে যে আমি একজন জুনিয়র আইনজীবী কে কোনোদিন বলেছি তুমি কত টাকা ফিস নিয়েছো আর আমাকে কয় টাকা ফিস দাও? যদি একজন বলতে পারে, আমি আজকে ঘোষণা করছি আমি আর কোনদিন নির্বাচন করবো না। যদি কেউ বলতে পারে আমি তার মক্কেলের সাথে কথা বলেছি বা মক্কেলের মামলা করার চেষ্টা করেছি, আমি এই পদে আর নির্বাচন করব না। এই কাজটি আমি সম্পাদক হওয়ার আগেও করিনি, সম্পাদক হওয়ার পরেও করিনি এবং ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই কাজটি আমি কখনোই করবো না। কেন করবো না এখন এই প্রশ্ন আসে, আমি এই কথা বলে আমার বক্তব্য শেষ করবো। আমার জীবনের দুঃখের গল্প বলে শেষ করবো!

 

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, পড়া শেষ করে ইন্টিমেশন জমা দেবো কিন্তু আমি কাকে দিয়ে ইন্টিমেশন জমা দেবো এই লোক আমি খুঁজে পাইনি! আমার পরিবারের বা আমার কোন পরিচিত লোককে (আইনজীবী) আমি কখনো দেখিনাই। এখন যে মাননীয় বিচারপতি জনাব জাফর আহমেদ তখন তিনি ভাষাসৈনিক জনাব গাজীউল হক সাহেবের জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন। গাজীউল হক সাহেবের মেয়ের জামাই জনাব সামসুদ্দিন বাবুল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থার্ড ব্যাচের ছাত্র) তিনিও তখন তার জুনিয়র হিসেবে নিচতলায় কাজ করতেন। তখন জাফর ভাইকে বললাম, জাফর ভাই আমারতো ইন্টিমেশন জমা দেয়ার জন্য একজন সিনিয়র দরকার। তিনি তখন আমাকে তার সিনিয়রের কাছে নিয়ে গেলেন। জাফর ভাই উনাকে বললেন, স্যার ও আমার ইউনিভার্সিটির এক বছরের জুনিয়র, ওর ইন্টিমেশন ফর্মে আপনি একটু একটা সাইন করেন। উনি আমাকে বললেন, বাবা আমি কি তোমাকে চিনি? আমি বললাম না স্যার আমি চিনি না। তোমাকে আমি না চিনলে তো তোমাকে আমি রেফারেন্স দিতে পারবো না। বাবা, তোমার এমন কোনো আইনজীবী বা কোনো ব্যক্তি যাকে তুমি চেনো বা জানো যাকে আমি কানেক্ট করতে পারি এমন কেউ কি আছে? আমি বললাম না স্যার আমি কোর্ট কাচারির কাউকে চিনি না। তখন উনি বললেন কোনো রেফারেন্স ছাড়া বাবা আমি তো কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে রেফারেন্স দেবো না। আমি অত্যন্ত ব্যর্থ মনে খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে আমাি বোধহয় আর আইনজীবী হতে পারবো না! ওখানে বসা একজন শ্বেতশুভ্র লোক যিনি মাথা নীচু করে বসে আছেন। আমি যখন কষ্ট পেয়ে বেরিয়ে আসছি তখন লোকটা আমার পিছে পিছে বেরিয়ে এসে বল্ল, এই ছেলে (পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে) আমি যদি তোমাকে ইন্টিমেশন দেই, তুমি নিবা? বিশ্বাস করেন আমার কাছে মনে হয়েছে আমি তাকে চিনি না জানি না (শ্বেত শুভ্র)……আমি বললাম স্যার, আমি নেবো। কয়, আমার সঙ্গে উপরে আসো। আমি ওনার সঙ্গে উপরে গেলাম। পরম স্নেহে……….. তিনি আমার প্রত্যেকটা ফরম ফিলাপ করে দিলেন, এবং ফিলাপ করে দিয়ে আমাকে বললেন, আমার নাম সৈয়দ গোলাম মোস্তফা। আমার বাড়ি নড়াইল। আপনার সিনিয়ররা অনেকেই চেনেন। মরহুম সৈয়দ গোলাম মোস্তফা মরহুম শেখ রাজ্জাক আলীর সঙ্গে কাজ করতেন। আমি বললাম স্যার, আপনি কেন আমাকে এটা করে দিলেন? উনি বললেন তুমি আমার এলাকার ছেলে, তুমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি’তে পড়ো, তুমি ব্রিলিয়ান্ট, এজন্য এলাকার ছেলে হিসেবে আমি তোমার ইন্টিমেশন ফরমে সাইন করলাম। আমি যেকোনো জায়গায় বলতে গেলে দা অনলি পার্সন, আই ক্রাই ফর সৈয়দ গোলাম মোস্তফা। আমি পরবর্তী জীবনে অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি…….কিন্তু আমার জীবনের শুরুতে সৈয়দ গোলাম মোস্তফা সাহেবের সেই ইন্টিমেশন ফর্ম যেটা আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি। সুতরাং আমার জীবনে আপনার যখন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তারও 23 বছর আগে আমার যশোরের, আমার নড়াইলের সৈয়দ গোলাম মোস্তফা সাহেব আমাকে উকিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমি অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে যাই। আমাকে এখনকার সময় দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, আমাকে বিবেচনা করতে হবে ওই সময়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটি ছেলে যে ঢাকায় কাউকে চেনে না, হল ছাড়া ঢাকায় থাকার কোন জায়গা ছিলো না, আমার কোন আত্মীয় স্বজন ছিল না, আমি কারো বাড়ি যেয়ে এক বেলা খেতে পারি নাই। আমি হলে থাকতাম এবং এরশাদের সময় ইউনিভার্সিটির হল বন্ধ হয়ে গেলে রাতে দেয়াল টপকিয়ে হলে যেয়ে ঘুমাতাম কারন আমার কোনো থাকার জায়গা ছিলো না। সেখান থেকে আমি এই পর্যন্ত আসছি so i always remember my past, আমি অতীতকে মনে রাখি।

Vote for ruhul quddus kazal
Vote for Secretary
Vote for ballot no. 02

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com