এটি সর্বশেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর এর লেখা একটি কবিতার অনুবাদ।
বাহাদুর শাহ (দ্বিতীয়) ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। পিতামহ সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম (১৭৫৯-১৮০৬ খ্রি:) এবং পিতা সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ উভয়ের মতো দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পেনশনভোগী ছিলেন। তিনি বার্ষিক ১ লাখ টাকা ভাতা পেতেন। পিতার মতো বাহাদুর শাহ নিজের ও মুঘল খান্দানের ভরণপোষণে ভাতা বৃদ্ধির জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু “বাদশাহ” উপাধি ত্যাগ এবং লালকেল্লার বাইরে সাধারণ নাগরিকের মতো জীবনযাপনের শর্তে তিনি রাজি হননি। এ ছাড়া সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনয়ন নিয়েও ইংরেজদের সঙ্গে সম্রাটের মনোমালিন্য ঘটে। ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও সম্পদ সব কিছু হারিয়ে সম্রাট প্রাসাদের চার দেয়ালের অভ্যন্তরে জীবন কাটাতে বাধ্য হলেন। এ সময় অমর্যাদার মনোবেদনা ভুলে থাকার জন্য তিনি গজল ও মুশায়েরায় নিমগ্ন থাকতেন ; জীবনের কষ্ট ও বিষাদ তার কবিতার মূল বিষয়..
একটি কবিতার অংশ…….
“উমর দরাজ মাঙ্গঁকে লায়েথে চার দিন
দো আরজুমে কাট গয়ে, দো ইন্তেজার মেঁ ”
যার অর্থ..
“চার দিনের জন্য আয়ু নিয়ে এসেছিলাম,
দু’টি কাটল প্রত্যাশায় আর দু’টি অপেক্ষায়..
ঠিক যেন আমাদের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি…
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।