বাংলা নতুন বছর বরণে বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পয়লা বৈশাখ সকালে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক শামীমা পারভীনের সঙ্গে কথা বলেছে মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন।
তিনি কবির নেওয়াজ রাজ কে বলেন, ‘ভিডিওর যে অংশে আমাদের দেশাত্মকবোধক গান গাইতে দেখা যাচ্ছে, তা মূল অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর। নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে আমরা যখন মূল ক্যাম্পাসে ঢুকছিলাম, তখন এই (বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা…) দেশাত্মবোধক গানটি গাওয়া হয়। এর আগে আমরা এসো হে বৈশাখসহ আরও কয়েকটি নববর্ষের গান গেয়েছি।’
আয়োজকদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন কে বলেন, ‘সকালে আমরা ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করি। সেটি নতুন ভবনের পাশের গেট দিয়ে মূল সড়কে যায়। এরপর রাস্তার বেশ কিছুটা প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের মূল গেটের সামনে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
‘মূল গেটের সামনে বেশ কিছু ছবি তুলে কর্মসূচি শেষ করা হয়। এরপর ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় কেউ কেউ নিজেদের মতো করে দেশাত্মবোধক গান গাইছিলেন। সেটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
খণ্ডিত ভিডিও ছড়িয়ে বিতর্ক তৈরি করাকে দুর্ভাগ্যজনক বলছেন অধ্যাপক শামীমা পারভীন। তিনি কবির নেওয়াজ রাজ কে বলেন, ‘সরকারি তিতুমীর কলেজের মঙ্গল শোভাযাত্রার বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে আছে। সেগুলো দেখলে মানুষের ভুল ধারণা কেটে যাবে।’
শামীমা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি শুনে আমাদের খুবই খারাপ লাগছে। আমি নিজে ৩০ বছর শিক্ষকতায় আছি। কোন অনুষ্ঠানে কোন গান গাইতে হবে সেটি আমরা বুঝতে পারি। মূল আয়োজন শেষে আমরা দেশাত্মবোধক গান গেয়েছি। দেশাত্মবোধক গান গাওয়া তো অপরাধ হতে পারে না।
‘আমরা ভালো জিনিসকেও ভালোভাবে নিতে পারি না। এটা ঠিক নয়, খুবই দুঃখজনক।