১৩ ই নভেম্বর : মরণপণ সাঁতরে, আমার মতো
কয়েক কোটিকে ভ্রুণকে পিছনে
ফেলে ওভারিতে ডিম্বাণুর
স্পর্শ পেলাম।
১৬ ই নভেম্বর : আজ থেকে আমি টিস্যু।
১০ ই ডিসেম্বর : আজ হঠাৎ মা বমি করা শুরু
করলো, বাবার কানে মা কিছু
একটা বল্লো, সাথে সাথে সে
আনন্দে মাকে জড়িয়ে ধরলো!
ওরা দুজনেই খুব খুশী ♥
১২ ই জানুয়ারী : আজ থেকে মা যা খাচ্ছে,
আমিও তাই খাচ্ছি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি : আজকে নিজের হার্টবিট
শুনতে পাচ্ছি ♥
৬ ই এপ্রিল : আজকে আমার আলট্রাস্ক্যান
করানো হলো। সন্ধ্যায় রিপোর্ট
পাওয়া গেছে..
Wow..! আমি মেয়ে হয়ে
পৃথিবীতে আসতেছি। হয়তো
কোন একদিন কারো প্রিয়
কন্যা, কারো প্রিয়তমা স্ত্রী
কিংবা কারো প্রিয় মা হবো…
৮ ই এপ্রিল, দুপুর: তপ্ত দুপুরে ক্লিনিকের
পিছনের ড্রেনে পড়ে আছি,
দুপুরের তাপ বাড়ছে। অনেক
ক্লিনিক্যাল বর্জের সাথে
আমাকেও ময়লার ড্রেনে
ফেলে দেয়া হয়েছে। একটা
মা কুকুর ৩ টা অভুক্ত বাচ্চা
সহ ময়লা ঘেটেঘুঁটে খাচ্ছে।
বাচ্চা কুকুরগুলো রক্তগুলো
চেটে পুঁটে খাচ্ছে। কিছু
ক্ষণের মধ্যে ওরা আমাকে
দেখতে পাবে..
কন্যা শিশু বলে বাবা-মা
আমাকে পৃথিবীতে চায়নি।
তোমরা সুন্দর গার্লফ্রেন্ড
চাও, সুন্দর বউ চাও, ভালো
মা চাও, তাদের ভালোবেসে
খুব সুন্দর পোষ্ট ও দাও।
আচ্ছা, ধরো যদি তোমার
মাকে কন্যা ভেবে তার
বাবা-মা আমার মতোই তাকে
এই পৃথিবীতে না চাইতো,তবে
আজকে “মা” দিবসে তোমার
স্ট্যাটাস কি হতো……?
পুনশ্চ : ওরা আমাকে
দেখতে পেয়েছে, আমার
ডায়েরীটা অসম্পূর্ণই রয়ে
গেলো…
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।