মোঃ শামীম ষ্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালীর দশমিনায় দুইটি বিদ্যালয়কে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা যায়।
নির্বাচন সামনে রেখে দশমিনা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চরবোরহান ইউনিয়ন পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সেখানে দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে ০৮ নং ওয়ার্ড পরিদর্শনের সময় হঠাৎ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখতে পান। তারপর তিনি বিদ্যালয়টিতে গিয়ে বন্ধ দেখতে পান। নেই কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী। উপস্থিত লোকজনকে প্রশ্ন করলে তারা বলেন এখানে শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না। স্কুলটি অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। তিনি জানতে চান স্কুলের কোন শিক্ষক আশেপাশে থাকেন কিনা। স্কুলের পাশের বাড়ি থেকে হালিমা নামের একজন আসলেন।তাকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কী এই স্কুলের শিক্ষক।
প্রথমে শিক্ষক পরিচয় দিলেও পরবর্তীতে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসলো। তিনি স্কুলের অন্য একজন শিক্ষকের প্রক্সি দেন মাসিক ১০০০/ টাকার বিনিময়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিছুক্ষণ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে কী যেন ভাবতে লাগলেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন,এসডিজি’র ০৪ নাম্বার অভীষ্ট হলো ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। সেখানে এই যদি হয় শিক্ষার অবস্থা তাহলে কিভাবে কী সম্ভব।
এক সময় শিক্ষকদের দেখলে সবাই সম্মান করতো। আজ কেন এই অবস্থা হলো। বিদ্যালয়টির ভিতরে গিয়ে আরো অবাক করার মতো বিষয় দেখা গেল। বিদ্যালয়টির ভিতরে গরু রাখা হয়।
ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা গেল গরুর গোবর ভরপুর। হতাশ হয়ে ফিরে এলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এরপরই পরিদর্শনের সময় একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে একই অবস্থা দেখতে পেলেন। নেই কোন শিক্ষক, নেই কোন ছাত্র। এমনকি উঠানো হয়নি জাতীয় পতাকা। অনেক খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া গেল না।
শিক্ষা ব্যবস্থার এমন হাল দেখে নিভৃতে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর উপায় কী!
কোথায় গেল সেই চকচকে পাজ্ঞাবি আর পায়জামা পরে আর্দশের সেই শিক্ষকেরা। অপরিচিত হলেও তাদের পোশাক পরিচ্ছদ দেখে বোঝা যেত তারা জাতির বিবেক আমাদের শিক্ষাগুরু।
আমাদের চাওয়া সেই বিশুদ্ধতার প্রতীক চকচকে সাদা পাঞ্জাবি আর পায়জামা পরা ফিরে আসুক আমাদের মহান শিক্ষকেরা তাদের মহান পেশায়।