আমাদের মন প্রায় সময়ই হঠাৎ বৃষ্টির মতো বিষন্ন হয়ে পড়ে, আকাশের মেঘ গুলোকে তখন দুঃখ বলে মনে হয়, রৌদ্রময় দিনকে মনে হয় ক্রোধপরায়ণা,
উত্তরের হিম শীতল বাতাসটাও খুব করে গায়ে বাঁধে।
অথচ দেখেন, এই মন’ই যখন ভালো থাকে প্রচন্ড রোদের মধ্যেও হেঁটে যাওয়া যায় সহজে।
আসলে এসবকিছুই চক্রাকারে ঘুর্নায়মান এবং আপেক্ষিক।
ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ’ গ্রুপে প্রায় দু’বছর হলো যুক্ত আছি। তেল দেয়া বা অন্য কোন উদ্দেশ্যও নেই। এমনকি আমাকে কেউ বাধ্যও করে না।একেবারে নিজের জন্য এখানে সময় দিয়েছি। নানা কারনে বারবার অনিয়মিত হলেও ঠিকই ফিরে এসেছি।
কিসে আমার ভালো আর কিসে মন্দ তা যেহেতু আইডেন্টিফাই করতে পারি তাই সিদ্ধান্ত নিতেও সেভাবে বেগ পেতে হয়নি। কারো কথায় না, কাউকে দেখেও না শুধুমাত্র নিজে জানার জন্য, ই-কমার্স বোঝার জন্য, নিজের ল্যাকিংস গুলো ধরার জন্য আমি মাসের পর মাস সময় দিয়ে গেছি। অবশ্যই বেনেফিটেড হয়েছি আর তাই একেবারে কখনো হারিয়ে যাইনি।
আমরা যারা কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তারা যদি জীবনের এই সময়টাতে সঠিক দিকনির্দেশনা পায় তাহলে পরবর্তীতে গিয়ে খুব বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হবে না।
ফেসবুকে আমার দুইটা আইডি, একটা আইডি দিয়ে বিজনেস মেইনটেইন করি অন্যটা অনেক পুরোনো। আমি নিজেই খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারি ফেসবুক কিভাবে একজন মানুষকে ভালো এবং খারাপ দু’দিকেই টানতে পারে। যখন পুরোনো আইডি লগইন করি সেখানে অনেক বেশি গল্প,গান,ভিডিও ইত্যাদি আসে আর বিজনেস আইডিতে সবকিছুই ই-কমার্স রিলেটেড,বিজনেস, পড়াশোনা এসব। পছন্দ আমার আমি যেখানে ইচ্ছা,যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই আমার সময়কে বণ্টন করতে পারি।
গত পোস্টে লিখেছিলাম এই দশদিন অন্তত এক হাজার পোস্ট পড়বো এবং আজকে এখন অবদি প্রায় ৫০ টার মতো পোস্ট পড়েছি। গতকালের চেয়ে আজকে, এই মুহুর্তে একটু হলেও কনফিডেন্ট লাগছে, স্ট্রেস ফ্রি লাগছে।
আমি হতাশা পছন্দ করি না তারপরও মাঝে মাঝেই অনিয়মিত হয়ে যাই তবে এ-ও জানি ডিজিটাল স্কিলস গ্রুপ আমার কাছে মেডিসিনের মতো।
একটু কষ্ট করে নিয়মিত সময় দিলেই ভীষন রকম নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
অপরাজিতা ইসলাম
গাজীপুর