ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে মৎস্য সপ্তাহের একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে এবং জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বরে এসে শেষ হয়।
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়, যেটা কয়েক বছর আগেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এছাড়াও ডিমওয়ালা মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে হবে। কেননা একটি মা মাছের ডিম থেকে হাজারো মাছের বাচ্চা জন্ম নেয়।
তিনি বলেন, সরকার দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎসীজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।
রমেশ সেন বলেন, যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয়, সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সরকার চায় বড় আকারের মাছ মৎস্যজীবীরা আহরণ করবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরও যতœশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সর্বদা ঠাকুরগাঁওবাসীর উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করি। আজকের ঠাকুরগাঁও শহরকে আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। শুধু শহর নয়, শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আরও অনেক নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই সেগুলো বাস্তবায়ন হলে ঠাকুরগাঁও জেলার চেহেরা পাল্টে যাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন, জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. খালিদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম, সদর থানার ওসি (অপারেশন) জিয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।