প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এছাড়া, তারা দরিদ্র গৃহহীন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, যোগাযোগ ও আশ্রয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আজ সন্ধ্যায় গণভবনে হলি সি, ভ্যাটিকানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, পাপাল নানসিও’র সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ঢাকায় সফলভাবে মেয়াদ সম্পন্ন করার জন্য বিদায়ী ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কূটনৈতিক কোরের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনে দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হোলি সি’র সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। হোলি সি সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনে গভীর অবদান রেখেছে এমন অনেক খ্রিস্টান মিশনারীর নিবেদিত কাজকে মূল্য দেয়।
এ সময় শেখ হাসিনা ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার ঠিক আগে ভ্যাটিকান সফরের কথা স্মরণ করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পাপাল নানসিও প্রধানমন্ত্রীকে বলেন যে তিনি ব্যাপকভাবে বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের চার্চগুলোর বিশেষ যতœ ও সুরক্ষা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তাদের অনেক কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় তাদের লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ, বিশেষ করে শিক্ষার উন্নয়ন উল্লেখ করে রাষ্ট্র্রদূত বলেন, ‘শিক্ষা হল মূল ক্ষেত্র যা আমরা উন্নয়ন করতে চাই।’
তিনি বলেন, তারা গাজীপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করছেন যেখানে সাধারণ মানুষ কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসা পাবেন এবং ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হাসপাতালটির উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
পাপাল নানসিও প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতাল উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানান এবং এ বিষয়ে তার কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি বাংলাদেশে তার সময় উপভোগ করেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।