মাজহারুল রাসেল : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মীম আবাসিক হোটেলে নাম পরিবর্তন করে মেঘনা ফ্রেশ নামে নতুন করে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়েসের নারী পুরুষের আনাগোনা থাকে এ বোডিংয়ে। এ বোডিংয়ে একচ্ছত্র ভাবে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সোনারগাঁওয়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পিরোজপুর গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী তাজু মোল্লার ছেলে সোয়েব মোল্লার মালিকানাধীন মোল্লা প্লাজায় কয়েক বছর আগে গড়ে উঠে মীম আবাসিক বোডিং নামের একটি আবাসিক হোটেল। সচেতন মহলের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য বতর্মানে নাম পরিবর্তন করে হোটেল মালিক মোঃ জয় মিয়া মেঘনা ফ্রেশ গেষ্ট হাউজ নাম দিয়ে অবাধে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রতিদিন এখানে চলছে অসামাজিক কার্যকালাপ,মাদক ও দেহ ব্যবসা। প্রতিদিন বাহির থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী এনে মেঘনা ফ্রেশ বোডিংটিতে চলে অবৈধ দেহ ব্যবসা। এছাড়া দেহ ব্যবসার অন্তরালে চলে রাতভর জুয়া ও মাদক সেবন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিরোজপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, সোনারগাঁওয়ের মতো একটি ঐতিহাসিক ও পবিত্র স্থানে আবাসিক হোটেল নামের অবৈধ দেহ ব্যবসা তা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছোট ছেলে মেয়ে আছে। চোখের সামনে এভাবে দেহ ব্যবসা চলতে থাকলে একদিন তারাও বিপদগামী হতে পারে। তারা আরো দাবি করেন, পুলিশী অভিযান নয়, এগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহ ব্যবসা করে সোনারগাঁওয়ের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজওয়ান উল ইসলাম জানান, আবাসিক হোটেলগুলোতে আমরা নিয়মিত নজরদারীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। যাতে হোটেলগুলোতে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে না পারে।