মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
ভোলায় কৃষি উন্নয়নে আওতায় কৃষক প্রশিক্ষন  ফুলপুরে ৩৩তম আন্তর্জাতিক ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বিষয়ক চার দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ ভূমি সংস্কার সম্পন্ন হলে পার্বত্য চুক্তি বহুলাংশে স্বার্থক হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা শোকরিয়া আদায় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন “আবু সালেহ আকন” নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ তথ্য চাইতে রেল কর্মকর্তা বলেন গেট আউট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে অর্থোপেডিক হাসপাতালে আইজিপি এইচএসসি পাসে জনবল নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ, আবেদন ফি ২০০ টাকা

খেলাধুলায় সাফল্য অর্জনে আরো প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২, ৫.১০ পিএম
  • ১৩৭ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সাফল্য অর্জনের লক্ষে আরো প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি খেলোয়াড়দের জয়লাভের মনোভাব নিয়ে খেলার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আরও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২২’ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। খেলার মাঠেও মাথায় রাখতে হবে যে যুদ্ধে জয় করেছি, খেলায়ও জয়ী হবো।’

‘এই চিন্তা নিয়ে সবাইকে চলতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে। কারণ, মনোবল এবং আতœবিশ্বাস একান্তভাবে দরকার। আর সব সময় প্রশিক্ষণও দরকার,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ কোনমতেই শিথিল করা যাবে না। যত বেশি প্রশিক্ষণ হবে তত বেশি খেলাধুলায় উৎকর্ষতা বাড়বে।

নিজের পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় এটা মনে করি যে, খেলাধুলা আমাদের অপরিহার্য্য। আমার আব্বা ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবে খেলতেন, আবার আমার ভাই শেখ কামাল সে ও খেলতো, সবাই বিভিন্ন টিমের সঙ্গে জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, কাজেই আমি এটা মনে করি যে, আমাদের ছেলে মেয়েরা যতবেশি খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সংস্কৃতি চর্চার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে,সাহিত্য চর্চা করবে, লেখাপড়ার পাশাপাশি এগুলো একান্তভাবে দরকার। শারীরিক, মানসিক সব দিক থেকেই আমাদের তরুণদের একটা আলাদা মানসিকতা ও দেশপ্রেম গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক এবং ১১ জন প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তার প্রত্যেকের হাতে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ এর ট্রফি তুলে দেন এবং ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের আজ জন্মদিনে তার ওপর রচিত ‘ আহসানউল্লাহ মাস্টার জীবনালেখ্য’ নামক একটি গ্রন্থেরও মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহ উদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২২’-এর উপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সরকার প্রধান অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বাইরে খেলার জন্য সময় দেয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি সকল বিশেষ করে যুবকদের খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যকর্মে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে বলেন যা তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া সেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন ২০১১’ প্রণয়ন করে একটা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনকে করোনাকালীন ৩০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। মোট ৪০ কোটি টাকার সীড মানি দেওয়া হয়েছে। আমি আরো ২০ কোটি টাকা দেব।

এ ফাউন্ডেশন থেকে সমস্যাগ্রস্ত খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাউন্ডেশন থেকে যারা আমাদের খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত অনেক সময় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা তাদের কোনরকম অসুবিধা দেখা দেয়, বয়স হয়ে গেলে বাড়িতে তাদের কোন কিছু করার থাকে না, সেখানে ফাউন্ডেশন থেকে সহযোগিতা করা যায়। আবার এই ফাউন্ডেশন তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য অনেক কাজও করতে পারে।

খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যারা বিত্তশালী আছেন তাদেরকে বলবো এসব জায়গায় তারা যেন আরো সহযোগিতা করেন। তাছাড়া প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরকে আমি আহ্বান জানাই প্রত্যেককে যেন আমাদের খেলোয়াড়দের চাকরি দেন, কাজ দেন। আমি মনে করি খেলোয়ারদের কোন একটা কাজ দিয়ে উৎসাহিত রাখা উচিত।

তিনি বলেন, যারা খেলাধুলা শেষ করে এখন ব্যবসা করে বেশ টাকা-পয়সার মালিক হচ্ছেন তাদেরতো উচিত এদিকের প্রতি আরও বেশি করে খেয়াল রাখা।

সরকার প্রধান বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালেই জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করেন এবং ১৬টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন অনুমোদন করেন। ১৯৭৪ সালে আরও ১৮টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন এবং বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে অনুমোদন দেন। ১৯৭৪ সালে ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট’ পাস করে আজকের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’ গঠন করেন। ১৯৭৫ সালের ৬ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ও সংস্কৃতিসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ অনুমোদন দেন।

গত ১৪ বছর ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের সফলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মোট ৪৮৫টি স্বর্ণ, ৪৯৯টি রৌপ্য, ৫৯৫টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে; এবং ১১৪ বার চ্যাম্পিয়ন, ২৬ বার রানার্স আপ ও ২২ বার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ক্রিকেটে প্রথমবার স্বর্ণপদক পেয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ-এ বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল ওমান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, সিঙ্গাপুরকে পরাজিত করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কাবাডি দল কেনিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ান-ডে সিরিজ জয় করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার তৃণমুল পর্যায়ে খেলাধুলার বিকাশে প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি এবং প্রতিটি জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মান করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দেশের অবশিষ্ট ১৭৩টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ চলমান। ইতোমধ্যে কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, ১৩টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ, সারাদেশে ৫৬টি স্টেডিয়াম, ৮টি সুইমিংপুল, ৬টি সুটিং রেঞ্জ,৭টি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031   
       
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com