শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী  নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে” –মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিপিএম কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রবাসীর জমি থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ উঠেছে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসন যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে- ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

আমাদের ছেলে-মেয়েরা একদিন বিশ্বকাপ খেলবে, প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮.২৭ এএম
  • ৯২ বার পঠিত

আন্ত:স্কুল, আন্ত:কলেজ, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আরো বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে এভাবেই তারা একদিন চুড়ান্ত উৎকর্ষতা অর্জন করে বিশ^কাপে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে প্রাইমারী থেকে যে খেলাধূলার শুরু হয়েছে সেখান থেকে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়-আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়েই একদিন আমরা বিশে^ খেলাধুলায় উন্নত হতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি সশরীরে যোগ দেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উক্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা করেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১২টি ইভেন্টের অধীনে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৮৫০ জন মহিলাসহ প্রায় ৬,৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ৩য় সংস্করণের আয়োজন করে।

ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন, কাবাডি এবং দাবা সহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘যদিও বিশ্বকাপ হচ্ছে (বিশ্বকাপ ফুটবল), আমাদের কোন অবস্থানই নাই।’

এটা তাঁর জন্য অনেক কষ্টদায়ক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ^কাপের খেলা টেলিভিশনে দেখেন আর ভাবেন কবে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই বিশ্ব আসরে খেলবে।

আমাদের মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে, ক্রিকেটে পারদর্শিতা দেখাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ছেলোরাও একদিন পারবে। সেজন্য তার সরকার বিকেএসপি’র শাখা ৮টি বিভাগে করছে যাতে সকল ইভেন্টে খেলেয়াড়রা উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে। আর এজন্য প্রশিক্ষণ একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ পুণর্গঠনকালে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রশিক্ষণের জন্য সে সময় জার্মানী, ভারতসহ অন্যান্য দেশে খেলোয়ার পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনেন।

কাজেই, তাঁর সরকারও ছেলে-মেয়েদের স্পোর্টসের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে এবং খেলাধূলার জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমিত সুযোগের মধ্যেও সরকারের এক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সীমিত সুযোগের মধ্যেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট ভাল করছে এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে সরকার এ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। প্রথমে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ এবং এখন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আর এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। তারা যতই এর সঙ্গে যুক্ত হবে, ততই আমাদের ভাল হবে।

জাতির পিতা হত্যার পর ৬ বছর রিফিউজি হিসেবে বিদেশে কাটানোর পর যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৮১ সালে একরকম জোর করে দেশে ফিরলেন তখন থেকেই তিনি এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টা খেলাধূলা এবং ক্রীড়া জগতকে উত্তমরূপে গড়ে তোলা এবং সরকার গঠনের পর থেকেই তাঁর সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, খেলাধূলা ও প্রতিযোগিতা আমাদের যুব সমাজকে পথ দেখায়। শিশু বা কিশোর বয়স থেকে যত বেশি খেলাধূলা করবে তত বেশি মন বড় হবে, শরীর ভাল থাকবে। তাছাড়া, আমি মনে করি, এই যে চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য একের সঙ্গে অপরের যে প্রতিযোগিতা এই প্রতিযোগিতাই আমাদের যুব সমাজ ও ছেলে- মেয়েদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, নিজেদেরও আত্মশুদ্ধি হবে এবং তারা স্ন্দুর ভাবে বাঁচবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। উন্নতিতে এবং প্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমি জানি, শিক্ষাদীক্ষা, খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতি চর্চার মত বিষয়গুলোয় সবসময় সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতা লাগে, পৃষ্ঠাপোষকতা ছাড়া এগুলো কখনও বিকশিত হয় না।

প্রধামন্ত্রী বলেন, তিনি এমন একটা পরিবারে জন্মেছেন যেটি ক্রীড়া অন্তপ্রাণ পরিবার। তাঁর দাদা ফুটবলার ছিলেন, দাদার ছোট ভাই তিনিও ফুটবলার ছিলেন, বাবা বঙ্গবন্ধুও ফুটবলার ছিলেন। তাঁর দাদা যখন অফিসার্স টিমের ক্যাপ্টেন তখন তাঁর বাবা ছিলেন ছাত্রদের ক্যাপ্টেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছেই আমরা শুনেছি একদিকে বাবার টিম অপর দিকে ছেলের টিমের খেলা হোত। বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে খুব চমৎকারভাবে সেকথা লিখে গেছেন।

তাঁর দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল স্পোর্টসের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাঁদের সহধর্মিনী সুলতাানা কামাল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ব্লু ছিল এবং পারভিন জামাল রোজীও স্পোর্টসের জড়িত ছিল।

খেলাধূলার পৃষ্ঠাপোষকতায় পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর সরকার সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে মিনি ষ্টেডিয়াম নির্মাণ করছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, জেলায় জেলায়ও ষ্টেডিয়াম করেছি। খেলাধূলার প্রতিযোগিতায় সবসময় সকলে যেন বেশি বেশি সবসময় অংশ নিতে পারে সে লক্ষ্যেই এগুলো করা।

দেশের প্রতিবন্ধীরা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রাতযোগিতায় অংশ নিচ্ছে এবং ভাল ফল বয়ে আনছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা একদিকে যেমন লেখাপড়া শিখবে, কারণ, আমি মনে করি, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী, অত্যন্ত গুণী, একটু সুযোগ পেলেই তারা যে অসাধ্য সাধন করতে পারে সেটা আমি বিশ্বাস করি।

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উদ্ধৃতি ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি, পারবে না।

যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং পুরস্কার পেয়েছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যতে তারা আরও ভাল করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com