মোঃশফিকুল ইসলাম।।
ঘাতক রাসেল ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। সে এলা কা ছেড়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গাজীপুরে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু বেশি সময় সে পালিয়ে থাকতে পারেনি। ৪ ডিসেম্বর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল খুনীকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় র্্যাব ১৪ ও নকলা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যেই তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
নিহত শাহনাজ বেগমের প্রথম সংসারের দুটি সন্তান রয়েছে। আগের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি জীবিকার তাগিদে গাজীপুর একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। সেখানেই রাসেলের সাথে পরিচায় হয় এবং বিয়ে হয়। শাহনাজ বেগম বিয়ের পর স্বামী সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ি জানকীপুরে চলে আসেন এবং আলাদা বাড়ি করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু সংসারে কোন শান্তি ছিল না। আগের সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগে থাকত। তারই ধারাবাহিকতায় ৩ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ঘাতক স্বামী রাসেল মিয়া তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে গাজীপুরের শ্রীপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খুনী রাসেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে নিহতের মা লাকি বেগম রাসেলের কঠিন শাস্তির দাবি করেন। নিহতের মেয়ে মাহিমা আক্তার (২০) এর ভাষ্যমতে, রাসেল মিয়া আগেও একটি বিয়ে করেছিল। আগের স্ত্রীকে সে নির্যাতন করতো। তার মাকেও প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। এলাকাবাসী ও নিহতের মেয়ে মাহিমা প্রশাশনের কাছে দাবী জানান, আমার মায়ের হত্যাকারী যেন কোন অবস্থাতেই ছাড়া না পায়। সে যেন কঠিন শাস্তি পায়। তার মৃত্যুদন্ড হলেই আমার মায়ের আত্মা শান্তি পাবে।