বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
শেরপুরে ইউনিয়ন আ.লীগ থেকে ২০ নেতার পদত্যাগ কালিগঞ্জে র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালিত হয়েছে ৪৬ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি,,,,,,,,, কালিগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা মাহমুদীয়া দাখিল মাদ্রাসাঃ ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান রাজারহাটে তিস্তায় ভাঙ্গন কবলিত ১২০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজ অটো চালক রজব আলীর মরদেহ উদ্ধার মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী : বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত মুঘল কাবাব হাউজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে  নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ কালিগঞ্জের নলতা ইউপি চেয়ারম্যান স্বপদে বহালঃ ইউনিয়নবাসীর মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন রাষ্ট্র নয় উন্নত রাষ্ট্র – এড,আব্দুল মতিন
শেরপুরের নকলায় স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী নিহত শাহনাজ বেগমের(৩৫) এর স্বামী ঘাতক রাসেল (৫০)গ্রেপ্তার হয়েছে

শেরপুরের নকলায় স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী নিহত শাহনাজ বেগমের(৩৫) এর স্বামী ঘাতক রাসেল (৫০)গ্রেপ্তার হয়েছে

মোঃশফিকুল ইসলাম।।

ঘাতক রাসেল ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। সে এলা কা ছেড়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গাজীপুরে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু বেশি সময় সে পালিয়ে থাকতে পারেনি। ৪ ডিসেম্বর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল খুনীকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় র্্যাব ১৪ ও নকলা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যেই তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

নিহত শাহনাজ বেগমের প্রথম সংসারের দুটি সন্তান রয়েছে। আগের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি জীবিকার তাগিদে গাজীপুর একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। সেখানেই রাসেলের সাথে পরিচায় হয় এবং বিয়ে হয়। শাহনাজ বেগম বিয়ের পর স্বামী সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ি জানকীপুরে চলে আসেন এবং আলাদা বাড়ি করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু সংসারে কোন শান্তি ছিল না। আগের সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগে থাকত। তারই ধারাবাহিকতায় ৩ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে ঘাতক স্বামী রাসেল মিয়া তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে গাজীপুরের শ্রীপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

খুনী রাসেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে নিহতের মা লাকি বেগম রাসেলের কঠিন শাস্তির দাবি করেন। নিহতের মেয়ে মাহিমা আক্তার (২০) এর ভাষ্যমতে, রাসেল মিয়া আগেও একটি বিয়ে করেছিল। আগের স্ত্রীকে সে নির্যাতন করতো। তার মাকেও প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। এলাকাবাসী ও নিহতের মেয়ে মাহিমা প্রশাশনের কাছে দাবী জানান, আমার মায়ের হত্যাকারী যেন কোন অবস্থাতেই ছাড়া না পায়। সে যেন কঠিন শাস্তি পায়। তার মৃত্যুদন্ড হলেই আমার মায়ের আত্মা শান্তি পাবে।

Print Friendly, PDF & Email

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © MKProtidin.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com