এ,এস,এম, জাফর ইকবাল (যশোর) , ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক নতুন শিক্ষা কারিকুলামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮শত ৫৫ জন শিক্ষকের ট্রেনিং এ বরাদ্দ অর্ধেক নাস্তা উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রশিক্ষণরত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। সরকারি ভাবে নাস্তার জন্য ৮০টাকা বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষকরা ট্রেনিংয়ে ৩৫/৪০ টাকার নাস্তা পাচ্ছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম শীর্ষক স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ (মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানরত সকল শিক্ষক কে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম) প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হয়। পরিপত্রের আওতায় এই কার্যক্রমটি দেশের ৪০৮টি উপজেলায় এবং ২৫টি থানায় একযোগে আরম্ভ হয়েছে। যার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৮শত ৫৫জন শিক্ষকদের নিয়ে ২টা ব্যাচের মাধ্যমে ঝিকরগাছা বদরুদ্দিন মুসলিম (বিএম) হাই স্কুলে বিগত ৬-৭ জানুয়ারী, ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম শীর্ষক স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষকদের জন্য দৈনিক নাস্তা বাবদ ৮০টাকা এবং দুপুরের খাওয়া বাবদ ৩শত টাকা হারে বাজেট থাকলেও শিক্ষকরা গড়ে দৈনিক নাস্তা পাচ্ছেন ৪০-৪৫টাকার। নাস্তার মধ্যে রয়েছে ডিম, কেক, সমুচা/সিঙ্গারা, কলা/লাড্ডু, কমলালেবু ও বিস্কুট। তবে ৮শত ৫৫জন শিক্ষকদের দৈনিক নাস্তা থেকে যদি ২৫টাকা হারে বাঁচে তাহলে ২১হাজার ৩শত ৭৫টাকা এবং ৫দিনের ট্রেনিংয়ে ১ লক্ষ ৬হাজার ৮শত ৭৫টাকার উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষকরা দাবী করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শুনেছি আমাদের জন্য নাস্তার বাজেট ৮০টাকা। তবে আমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫টাকার নাস্তা। আমাদের জন্য বরাদ্ধকৃত নাস্তার বাকী টাকা কোথায় যাচ্ছে সেটা বলতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, নাস্তার জন্য বাজেট ৮০টাকা। তবে ভ্যাট, আইটি, কর কর্তনের পরে আমরা হাতে পাচ্ছি ৬৫টাকা। তখন তার নিকট শিক্ষকদের ৩৫-৪০টাকার নাস্তা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সব তো আপনি বোঝেন! তার বক্তব্যের বিষয়ে বলতে হলে ৮০টাকার নাস্তার ভ্যাট, আইটি, কর যদি ১৫টাকা হলে হাজারে কত টাকা হয় ?
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বক্তব্য নিতে না নিতেই ৪/৫ মিনিট পর হিসাব রক্ষক তপন কুমার প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে রবিবার সকালে অফিসে দেখা করতে বলেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আযম বলেন, বিষয়টি আপনি আমাকে জানালেন সেহেতু, আমি এবার ভালো নাস্তা দিতে বলবো।