বাদী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), পিতা- মোঃ আব্দুর রহিম, গ্রাম-৮/৯ নং উপ শহর, থানা ও জেলা-দিনাজপুর বর্তমানে ম্যানেজার, আসওয়াত এগ্রো নাটোর এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা এলাকার মুরগী ব্যবসায়ী, যার মোবাইল নং-০১৮১৯৯৩৫৭৬৪ মৌ পোল্ট্রি ফার্মের পরিচয়ে ৪,৭০০ টি মুরগীর বাচ্চা প্রয়োজন বলে জানান। তখন বাদীর সাথে ৪,৭০০ টি বাচ্চার দাম ১,৭৮,০০০ টাকায় চুক্তি হয়। পরবর্তীতে মৌ পোল্ট্রি ফার্মের পরিচয়ে ০১৯০৯২০৩৫০০ বিকাশ নম্বর হতে বাদীর কোম্পানির বিকাশ ০১৭২১৮৯৭৫৬৯ নম্বরে ৮,০০০ টাকা প্রেরণ করে এবং বাকী টাকা মুরগীর বাচ্চা বুঝিয়ে নিয়ে পরিশোধ করবে বলে। সেই মোতাবেক কোম্পানির উর্দ্ধতনদের নির্দেশনায় বাদী ও কোম্পানির ড্রাইভার মোঃ রনি (২৪) সহ টাটা এক্স পিকাপ যোগে ৪,৭০০ টি মুরগীর বাচ্চাসহ মৌ পোল্ট্রি ফার্মের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নিকট পৌছালে তিনি বাদীর নিকট হতে ৪,৭০০ টি বাচ্চা বুঝিয়ে নিয়ে একটি ইজি বাইকে পাঠিয়ে দেয়। তখন বাদী তার পাওনা ১,৭৮,০০০/- টাকা চাইলে তিনি বাদীকে প্রথমে আলমডাঙ্গা গরুর হাট পরবর্তীতে পুনরায় আবার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে নিয়ে এসে একটি দোকানে চা খাওয়ায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ১৬.০২.২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা অনুমানিক ০৬:৫৮ ঘটিকার সময় রেলষ্স্টেশনের পাশে একটি খালের ধারে নিয়ে গিয়ে খালের মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন বাদী ডাক ও চিৎকার দিলে সঙ্গে থাকা ড্রাইভার ও স্থানীয় লোকজন এসে আসামীকে অনেক দূর পর্যন্ত ধাওয়া করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আমলডাঙ্গা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জনাব আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর তত্ত্বাবয়ধানে অফিসার ইনচার্জ, আলমডাঙ্গা থানা জনাব মোঃ সাইফুল ইসলামর নেতৃত্বে জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন), এস আই (নিঃ) শ্রী সমির চন্দ্র দাস সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে নিরলস প্রচেষ্টায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ কবির হোসেন (৩২), পিতা- মোঃ কুদ্দুস মন্ডল, সাং- পোল ভাতুড়িয়া, থানা- হরিনাকুন্ডু, জেলা- ঝিনাইদহ, ২। মোঃ আরজেন আলী (৪৫), পিতা- মৃত শামছুদ্দীন মন্ডল, সাং- উজিরপুর, থানা- দামুড়হুদা, জেলা- চুয়াডাঙ্গাদ্বয়কে ইং ১৮.০২.২০২৩ তারিখ ভোর রাতে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে ঝিনাইদহ সদর থানাধীন লক্ষীকোল গ্রাম হতে ০৩ নং আসামী মশিউর রহমানের নিকট থেকে ৩১০০ টি সোনালী মুরগীর বাচ্চা এবং একই থানাধীন হোলিধানী গ্রাম হতে ৪ নং আসামী শাহজাহানের নিকট থেকে ৫০০ টি সোনালী মুরগীর বাচ্চা, সর্বমোট (৩১০০+৫০০)=৩৬০০ টি সোনালী মুরগীর বাচ্চা উদ্ধার করতঃ আসামীদ্বয়কে হেফাজতে গ্রহণ করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।