এ,এস,এম, জাফর ইকবাল (যশোর) , ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দুই মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির বিষয়ে ৬৩জন মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় মোঃ ওয়াজেদ আলী, পিতা মৃত সামছুল হক, গ্রাম হরিদ্রাপোতা, ইউনিয়ন শংকরপুর মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খাঁ, পিতা মৃত বাবু খাঁ এর মুক্তিযোদ্ধা সনদ এবং মোরশেদ আলী, পিতা তারা চাঁদ মন্ডল, গ্রাম কুলিয়া, ইউনিয়ন পানিসারা মৃত মুক্তিযোদ্ধা মশিয়র রহমান, পিতা মৃত তারা চাঁদ মন্ডলের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে অনৈতিক পন্থায় সরকারি ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।
তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে ৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধা এক হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দু’ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ওয়াজেদ আলী সংবাদকর্মীদের উপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করছে।
আমরা বাঙ্গালী, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব ও অহংকার। তারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিকামী জনতার জন্য স্বাধীনতা ও বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধার অবদান আমাদের কাছে কখনও ভুলবার নয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সরকারিভাবে বিভিন্ন ভাতা এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই বিভিন্ন রাঘব বোয়ালদের সাথে মিলিত হয়ে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে হয়ে উঠেছেন মুক্তিযোদ্ধা। আর এই সব অনৈতিক পন্থা অবলম্বনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান খুঁজে বের করার কাজ সংবাদকর্মীদের। উপজেলার ২জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির বিষয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পরেনি। তারপর দেশে ও জাতির সামনে তাদের জালিয়াতির কার্মকান্ড উপস্থাপন করাটাই একজন সংবাদকর্মীর দায়িত্ব। এবার সংবাদকর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষানা করেছেন উপজেলার ৬৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, আমার নিকট ৬৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধারা একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং সোনালী ব্যাংক ঝিকরগাছা শাখার ব্যবস্থাপককে পরবর্তী মাসের পে-রোল প্রসেস করার পূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সঠিক পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের পে-রোল প্রসেস বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।