ঢাকা ১৪ এপ্রিল ২০১৯: ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে আহুত মানববন্ধন সমাবেশ প্রভাবশালীদের চাপ ও বাঁধার মুখে সম্ভব হয়নি। আজ রোববার বিকেল ৩টায় ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফেনী জেলা শাখা। খবর পেয়ে সকালে পৌর মেয়র খোকন কৌশলে সোনাগাজী বিএমএসএফ সভাপতি গাজী হানিফকে ডেকে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে জানাজানি হয়ে গেলে দুপুরে গাজী হানিফের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট দেয়া হয় যে তার সাথে মেয়রের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে। মেয়রের সাথে তার আর কোন বিরোধ নেই। এ ঘটনায় ফেনী ও সোনাগাজীর সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে জেলা কমিটি স্থানীয় একটি হোটেলে জরুরী সভা করে।
বিএমএসএফ ফেনী জেলা কমিটির আহবায়ক জসিম মাহমুদ জানিয়েছেন, স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করার জন্য চাপ প্রদান করেন। মানববন্ধন সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় দুই নেতা দুপুরে ফেনীতে পৌঁছলে মানববন্ধন স্থগিতের কথা জানা যায়।
সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ ও সোহাগ আরেফিন জানিয়েছেন, ফেনী জেলা কমিটি ঘোষিত মানববন্ধনে আমরা উপস্থিত হলেও অদৃশ্য কারনে সমাবেশ স্থগিত রাখা হয়। যেটি সাংবাদিকদের জন্য দূ:খজনক। তবে ফেনী জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনির মানববন্ধনের ব্যানার তৈরী করা হয়নি বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে যান।
কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হাসনাত তুহিন লন্ডনী জানিয়েছেন, গাজী হানিফের সাথে আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত যোগাযোগের চেষ্টা করেছি এখনও কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। হানিফের ফেসবুক আইডিতে দেখা গেছে, তিনি নাকি এমপি নিজাম হাজারীর মাধ্যমে মেয়রের সাথে সমঝোতা করে ফেলছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা ঘটনাটি এখন আর সোনাগাজী আর ফেনীতে সীমাবদ্ধ নয়। কুলাঙ্গার সিরাজ ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেশ আজ উত্তাল। যেখানে সরকারও আন্তরিক। সেখানে সোনাগাজীর মেয়র কাউকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখেনা। আগামি বুধবার ১৭ এপ্রিল নুসরাত হত্যা ও সোনাগাজীতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় মানববন্ধন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।