রংপুরঃ রংপুরের পীরগঞ্জে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৩১ জন অসহায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার, ট্রাই সাইকেল ও অন্যান্য সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন, চৌধুরী পরে পীরগঞ্জ অডিটোরিয়াম হল রুমে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১০০ জন ব্যক্তির মাঝে এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি চেক বিতরণ করা হয়। এ সময় স্পিকার ড., শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ৫ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ ও ৭০০ জন রোগী কে বিভিন্ন ভাবে সেবা দিচ্ছি। গরীব শিক্ষার্থী যারা কারিগরী ইনস্টিটিউটে রয়েছেন তাদের বৃত্তি বেশি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন শিক্ষার পরের ধাপ হচ্ছেন কর্মব্যাবস্থা।এমন শিক্ষা অর্জন করতে হবে যাতে কর্মের জন্য কারো দারস্ত হতে না হয়। এবারে ১০০ জন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে আগামীতে আরো বেশি দেওয়া হবে, জীবন মানোন্নয়নেন জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টি এম মমিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ ও পীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মন্ডল, আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান মিলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা আলম রিনা, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামিম, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাঃ আজিজুল ইসলাম রাঙ্গা, যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ অনেকে।
পীরগঞ্জে চতরা ভূমি অফিসের উদ্দেগ্যে
ভূমি সেবা ক্যাম্প বণার্ঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চত্তরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উদ্দেগ্যে ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত হয়। “রাখব নিস্কন্টক জমি-বাড়ি, করব সবাই ই-নামজারি”-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভূমি সেবা সপ্তাহ ও ভূমি উন্নয়ন কর মেলা-২০১৯ উপলক্ষে ভূমি সেবা ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়। সোমবার দুপুরে র্যালী শেষে চতরার ভূমি অফিসের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।আলোচনা সভার শুরুতে সেবা সপ্তাহের বর্ণাঢ্য র্যালী ইউনিয়নের চতরা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসে এসে শেষ হয়। র্যালীতে এতে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার সঞ্জয় কুমার মহন্ত,ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল সিদ্দিকী, ১৪ নং চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামূল হক শাহীন, ১৫ নং কাবিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম।পরে ভূমি সপ্তাহে ভূমি সেবার ওপর আলোচনা করা। আলোচনায় সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মোজাহার আলী সভাপতিত্ব করেন।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে কাবিলপুর ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ স্বপন ইউনিয়নের খাস জমি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রবিউল সিদ্দিকী জানান- কাবিলপুর ও চতরা ইউনিয়নের শ্যামাদাস রায় চৌধুরীর ৮০ একর, সৌরাঙ্গ মোহন গুহ রায় এর প্রায় ৮০ একর, দেবত্তর রায় এর ১৭ একর খাস জমির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া চতরা হাটে প্রায় ১০ একর খাস জমির কথা, তিনি আরোও মুসলমানদের ওপফ করা প্রায় ৫০ একর জমির কথা বলেন।তিনি বলেন-এইসব জমি সহ জেড়াছড়ি ও সন্যাসির দহ বিলের জমি প্রভাবশালীরা দখল করে আসছে যদি এইসব জমি দখলমুক্ত করা হয় তাহলে সরকার এখান থেকে ব্যাপক রাজস্ব আয় করতে পারবে। উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন- আগামীতে আইনের মাধ্যমে সকল খাস জমি উদ্ধার করে জনগনের সেবা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া তিনি ৬২, ৮৪, ৯২ সালের রেকর্ড সর্ম্পকে অবগত করেন।পাশাপাশি জনগনের সকল সমস্যা সমাধান এবং জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্য ভূমি অফিসে আসার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় তিনি সাধারণ জনগনের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন। একই সাথে খাজনা,রেকর্ড সংরক্ষণ ও সংশোধন, সরকারী সম্পতি নজরদারী করার কথা উল্লেখ করেন।পাশাপাশি তিনি হাট-বাজারে বৈধ ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র সহ নবায়ন করার জন্য অনুুরোধ করেন।সর্ব প্রকার জলামহল তদারকি করার তাদিগ করেন।