স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শামীম।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মোল্লার চর এলাকার হানিফ হাওলাদারের বাড়িতে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মো. হানিফ হাওলাদার (৫২) কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহত মো. হানিফ হাওলাদার হচ্ছেন আ. মালেক হাওলাদারের ছেলে। প্রতিপক্ষরা হচ্ছেন একই এলাকার বাসিন্দা ১। মো. আব্দুল খালেক, ২। মোসা. লিপি, ৩। মোসা. কাকলী, ৪। মো. সমীর প্যাদা, ৫। মোসা. আসমা ও ৬। মো. আশ্রাব ফকির। সোমবার (৮ মে) দুপুর ২ টায় গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মো. হানিফ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রতিপক্ষের বাড়ির মধ্যে ৬০ কড়া জমি পাই। আমি ওই জমির বিষয়ে কথা বললে প্রতিপক্ষরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আর বলে ৫ লক্ষ টাকা দিলে আমাকে তারা জমি বুঝিয়ে দিবে। উক্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয় এবং আমাকে কোপ দেয়। এতে আমার মাথা কেটে যায়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমাকে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটাতে থাকে। আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও প্রতিপক্ষরা মারধর ও টানা হেচড়া করেছে। এতে আমার স্ত্রীর কাপড় ছিড়ে টুকরা হয়ে যায়। এ বিষয়ে আহত হানিফ হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. রেকসনা বলেন, আমরা প্রতিপক্ষ আব্দুল খালেক গংদের নিকট ৬০ কড়া জমি পাই। কিন্তু আব্দুল খালেক ও তার লোকজন জমি না দিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে ওরা আমাকেও বেধম মারধর করেছে। আমার কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলেছে। আমার গলার চেইনও জোর করে ছিড়ে নিয়ে গেছে। খালেক একজন ডাকাত ও খুনি মানুষ। খালেকের পৈত্রিক বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে। সে আমাদের এখানে ঘর জামাই থেকে এখন আমাদেরকে এলাকা থেকে তাড়ানোর পায়তারা করছে। খালেক তার ১ম বউকে খুন করেছে। আমাদেরকেও ও খুন করতে চায়। আমার স্বামী এখন খুবই অসুস্থ। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হানিফ হাওলাদার ৬ জনকে আসামী করে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সি,আর ৩৭৫/২০২৩, তারিখঃ ০৭/০৫/২০২৩ খ্রি.। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল খালেকের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নোমান পারভেজ বলেন, হানিফ হাওলাদার আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ১নং বেডে ভর্তি আছে। তার মাথায় সেলাই লেগেছে। তার শরীরে মারধরের চিহ্ন আছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে, বিষয়টি আদালত মীমাংসা করবে। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি, আদালতেও মামলা হয়েছে।