মোঃ সাইফুল ইসলাম
রাজারহাট, কুড়িগ্রাম (প্রতিনিধি):
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হৈমন্তী রানী কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার ধান বীজ বিতরণকালে তালিকাভুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করেই বিতরণ করার কথা বলেন। তিনি বলেন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ ধান বীজ গ্রহণ করতে পারবেনা, এমনকি স্বামীর পরিবর্তে স্ত্রী, স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামী, পিতার পরিবর্তে পুত্র, পুত্রের পরিবর্তে পিতাকেও বিতরণ করা হবে না। তার এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ কৃষকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যপক প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর দুপুর ২ঃ০০ঘটিকায় উপজেলা চত্বরে কৃষি অফিসের সামনে থেকে ধান বীজ বিতরণ করার সময় উক্ত স্থানে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজমান। কৃষকদের দাবি তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রণোদনার তালিকায় নাম থাকলেও পরিবারের একজন বীজ নিতে আসে। এসময় বাড়ির সদস্যরা নানা ধরনের শাকসবজি চাষের কাজে ব্যস্ততার কারণে সকলে আসতে পারেনি। এসেই যেন বিপাকে পড়তে হচ্ছে বীজ নিতে আসা সাধারণ কৃষকদের।
কৃষি এ কর্মকর্তার এমন সিদ্ধান্তের পরই দেখা গেছে একজনকে তিনজনের বীজ গ্রহণ করতে। তার মধ্যে সেই কৃষকের স্ত্রীর নাম রয়েছে। উপস্থিত সাংবাদিকগণ এবিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি অপ্রাসঙ্গিক জবাব দিয়ে বলেন উনি একজনকে দেখিয়ে বীজ গ্রহণ করেছেন। স্ত্রী উপস্থিত না হয়ে ওই কৃষক তার স্ত্রীর নামের ধান বীজ কিভাবে পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে হৈমন্তী রাণী বলেন, একজন ব্যক্তিকে দেখিয়ে তিনি বিতরণ করেছেন। এদিকে বাবার নামের ধান বীজ তুলতে আসা ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যপক ক্ষোভে ফেটে পড়েছে উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে আসা কৃষকরা।
কৃষকদের মাঝে ধান বীজ বিতরণের এমন অনিয়মের ঘটনার বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এবিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলতে নারাজ।