মোতালেব বিশ্বাস লিখন, ইবি।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নে চললেও পাল্লা দিয়ে কমছে মানসিক উন্নয়ন। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কার্যদিবসেই চলে ইনকোর্স বা সেমিস্টার পরীক্ষা, অন্যদিকে সম্প্রতি প্রতিদিনই প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ধুম ধাম গান বাজনা। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা-কার্যক্রম। মধ্যরাতে মাইকের শব্দে রীতিমতো অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) আবাসিক হলগুলোতে উচ্চ সুরে গান বাজানো বন্ধ প্রসঙ্গে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলোতে প্রায়ই রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হয়, যেটা কয়েকবার নিষেধ করার পরেও বন্ধ হয়নি। প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত গান তথা উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না।
সূত্রটি থেকে জানা যায়, ‘প্রতিনিয়ত উচ্চস্বরে গান বাজানোর ফলে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষও জানালেও কোন সুরাহা হয়নি।’ প্রক্টরের নিকট তারা এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি যুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে।’
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. মুজাহিদুল ইসলাম (১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইবি ছাত্রলীগ), সোহাগ শেখ (সাংগঠনিক সম্পাদক, ইবি ছাত্রলীগ), মোঃ আল-আমিন হোসেন (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ), মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (পরিসংখ্যান বিভাগ), মারুফুল ইসলাম (বাংলা বিভাগ), মিজানুর রহমান মিজান (আরবি বিভাগ) এই অভিযোগ পত্রে সংহতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ করছি প্রতিদিনই রাত হলেই উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হয়। আজ আমার পরীক্ষা ছিল, গতকাল সারারাত কিছু করতে পারিনি। এভাবে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকের শব্দে জন জীবন অতিষ্ঠ মনে হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ৫ মিনিটের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর নোট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল ১২ টায় বিষয়টা নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে মিটিং করা হবে। ভোগান্তির ব্যাপারে কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত আরোপ করা হবে। শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ও অতিষ্ঠ হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে মিটিংয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে।’