খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো ফেরীঘাট সংলগ্ন নিউ মুসা ফার্ণিচার, আলামিন ফার্ণিচার ও জুয়েল বুক হাউজ সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মো: মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদর এর নির্দেশনায় কাজ করছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধ দমনের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের জানমাল রক্ষার্থে সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনো দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আবারো পুলিশ তার মানবিকতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিল। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে মানুষ যখন হত বিহ্বল হয়ে পড়ে তখন খুলনা মহানগরীর সদর থানা সহ আশেপাশের সকল থানা থেকে পুলিশ অফিসার ও ফোর্স মানুষের জানমাল রক্ষার্থে ও নিরাপত্তার স্বার্থে আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে অগ্নি নির্বাপন ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ সহজ করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে খুলনা মহানগরী পুলিশ। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় খুলনা মহানগরীর পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্সকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করণীয় তার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আজ শনিবার রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে ডাকবাংলো ফেরীঘাট ফার্ণিচার ও বই মার্কেট সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।
খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো ফেরীঘাটে ফার্ণিচার ও বই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেএমপি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল, ফার্ণিচার ও বই-পত্র নিজের কাঁধে বহন করে উদ্ধারের কাজে অংশগ্রহণ করেছে।
এছাড়াও আশপাশ এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির দ্রুত গমনাগমনে কাজ করছে কেএমপির ট্রাফিক পুলিশ। উৎসুক জনতা যেন ভিড় করে ফায়ার সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাজে ব্যঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে কেএমপি।