পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) বলেছেন, জাতির বৃহৎ কল্যাণার্থে প্রত্যেক গ্রামে সমবায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধানের আলোকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমবায়ভিত্তিক কৃষির বিপ্লব ঘটাতে হবে। কারণ, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সমবায়ভিত্তিক কৃষির মাধ্যমে দেশের গরীব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাই আমরা সবাই মিলে গ্রামে-গ্রামে যদি সমবায় পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করি, দেশের অর্থনীতির জন্য সেটি হবে বিরাট এক মাইলফলক।
শনিবার (০১ জুন) সকালে রাজশাহী বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাজশাহী বিভাগের সমবায় কর্মকর্তাগণের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় সমবায়ভিত্তিক কৃষিঃ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল- “সমবায়ভিত্তিক চাষ, ফসল হবে দ্বিগুণ, ব্যয় হবে হ্রাস”। উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করাটা খুবই জরুরি। কাজেই আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় সমবায় আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও যোগ করেন, আজ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সময়। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে তাদের জ্ঞান ও মেধা নিয়ে। মেধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন-নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে সবাইকে সমবায়ভিত্তিতে প্রতিটি বাড়ির আঙিনা, ছাদ এমনকি বাড়ির পাশে পতিত জমিতেও চাষ-বাস করতে হবে। সমবায়ের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কেবল সভা-সেমিনার করে কাজ হবে না। প্রতিটি মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে সমবায়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান করে সমবায়ের সোনার ফসল ঘরে তুলতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ শরিফুল ইসলাম, নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা এবং ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী। এছাড়া, সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মোঃ মোখলেছুর রহমান, যুগ্মনিবন্ধক, বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়, রাজশাহী।