হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ১০৭নং নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের বেহাল দশায় আতঙ্কে ও দুঃচিন্তায় শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শঙ্কিত অভিভাবকসহ অবহেলিত জনপদের সচেতন মহল।
সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে , উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে স্থাপীত। ১৯৯৫ ও ৯৬ সালে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ২০২১ সালে পরিত্যক্ত ভবনটি অকশনে বিক্রয় করা হলেও আজও হয়নি নতুন ভবন। সেই থেকে গোলপাতার ছাউনি দিয়ে তিন রুম বিশিষ্ট ক্লাসরুম নির্মাণ করা হয়। যা বর্তমানে জরাজীর্ণ, সেই ঘরে খুবই কষ্টে আজও পাঠদান চলছে।গোলপাতার ছাওনি কাঠের বেড়ার রেলিং তাও ভাল না একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে আর ঝড় উঠলে আতঙ্কে থাকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হয়। পাঠ চলাকালে ঝুঁকিতে থাকে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের জীবন। স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলের বেহাল দশা স্কুলের ছাওনি ভালো না একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে , নেই স্বাস্থসম্মত ল্যাট্রিন। ক্লাস চলাকালে ঝড় উঠলে পুরোটা সময় আতঙ্কে থাকি আমরা। এ বিষয়ে নবীন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল রানী সরকার বলেন বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই খারাপ, অভিভাবকরা স্কুলে তাদের সন্তানদের পাঠাতে চাচ্ছে না। দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে একটু বৃষ্টি হলেই প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে। আর ঝড় উঠলে তো কথাই নেই আতঙ্কে থাকতে হয় সেই সাথে আতঙ্কে থাকে অভিভাবকরা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ছাওনি নষ্ট হয়ে গেছে, প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে স্কুলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ উপকরণ নষ্ট হয়ে গেছে বৃষ্টির পানি পড়ে। আমরা স্কুলের এহাল অবস্থার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন সুরাও হয়নি। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে আমাদের একটি ওয়ার্কশপ ছিল সাতক্ষীরাতে আমি নিজেও কথা বলেছি, তারা নোট করে নিয়েছে। এর আগেও আমি কয়েকবার তালিকা দিয়েছি। নবীননগর স্কুলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লিখে পাঠিয়েছি। ঢাকা থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন সাতক্ষীরাতে আমি এক নম্বরে নবীননগর স্কুলের নাম লিখে দিয়েছি।