হাফিজুর রহমান শিমুলঃ আসন্ন ঈদ-উল আযহা কে সামনে রেখে উপজেলার মৌতলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শুধু ব্যাক্তি স্বার্থে নয়, জনকল্যানে বেশ অবদান রেখে আসছে মৌতলা গরুর হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেয়ে হাট পরিচালনা হচ্ছে। এবছর ভারতীয় গরু কম আসায় স্থানীয় গরু-ছাগলে ভরে গেছে হাটটি। দেশিয় পশুর উৎপাদন পর্যাপ্ত থাকায় দামও নাগালের মধ্যে আছে, এমনটা জানালেন, ক্রেতা ও বিক্রেতারা সাধারণ। কোরবানির হাটের সার্বাধিক নিরাপত্তার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাঈদ মেহেদীর তদারকীতে এবং মৌতলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও তথ্য প্রযুক্তিলীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপুর্ণ ভাবে হাটের পরিবেশ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বাড়তী নিরাপত্তায় থানা পুলিশ মোতায়েনসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভারতীয় পশু আমদানির উপর কড়াকড়ি হওয়ায় কালিগঞ্জে অনেকেই গরু- ছাগলের খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে চাহিদার চেয়েও উৎপাদন বেড়েছে কোরবানির পশুর। ক্রেতারা বলেছেন, বাজারে পর্যাপ্ত যোগান থাকায় এবার পশুর দাম তুলনামূলকভাবে কম। উপজেলার মৌতলার পশুর হাটে দেখাগেছে দেশিয় জাতের ছোট বড় অনেক গরু, ছাগল। গরুর হাটগুলোতে শংকরজাতের বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট আকারের দেশিয় গরুর চাহিদা বেশি, বললেন মুকুন্দপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ গাজী, জোমাত আলী গাজী, পারুলগাছা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী। কোরবানির ঈদের জন্য বছরজুড়ে পশু লালনপালন করে থাকে এ অঞ্চলের খামারিরা। কালিগঞ্জ উপজেলার সু-যোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন পশুরহাট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, ফলে কোন প্রকার ভারতীয় গরু কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারছে না। এ বিষয়ে ব্যাপক নজরদারি ও তদারকি নেওয়া হচ্ছে।
এজন্য উপজেলা এলাকার হাটগুলোতে দেশি গরুতেই জমে উঠেছে কোরবানির হাটগুলো। তাছাড়া হাটগুলো যাহাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাগন না ঠকেন সেদিকেও যথাযথ খেয়াল রাখা হচ্ছে। শেষের দিকে হাট আরো জমে উঠবে বলে দাবী করেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মনোজিত কুমার মন্ডল। মৌতলা পশুরহাটের ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন সম্পুর্ন নিয়মনীতি মেনে, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রেখে, উপজেলা চেয়ারম্যান জনগনের কল্যানে নিবেদিত সাঈদ মেহেদী ভাইয়ের পরামর্শে পশুর হাট পরিচালিত হচ্ছে। এহাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে পাশ খরচ কমানো, যানবাহন ব্যাবস্থা, আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত বছর পশুর হাটের লভ্যাংশ থেকে
২ লক্ষ টাকা ও বাজারের দোকান মালিক সমিতির নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান এবং তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর দেওয়া ১ লক্ষ ৫০ টাকা দিয়ে বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা সেট আপ করা হয়েছিল। মৌতলা হাট বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির এবারের ভাবনা সবাই কে নিয়ে ঈদের পরেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মৌতলা উন্নয়নে কি অবদান রাখা যাবে। উল্লেখ্য যে, আগামী শুক্রবার (৯ আগষ্ট) ও রবিবার (১১ আগষ্ট) মৌতলায় পশুরহাট হবে।