হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জে রুপান্তরের আয়োজনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণ সমাবেশ ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় সরকারি কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে রূপান্তরের জেলা সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র গাইন, ছাত্র সমন্বয়ক মারুফ হাসান সহ বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষকবৃন্দ। বক্তারা বলেন ব্যবহারের পর আমরা যে প্লাস্টিক -পলিথিন ফেলে দিই, তা মাটি ও পানিতে অপচনশীল অবস্থায় মিশে যায়। দীর্ঘ সময় পরিবেশে অবস্থান এর ফলে প্লাস্টিক দ্রব্যাদি মাইক্রো প্লাস্টিকে পরিণত হয় এবং সরাসরি প্রাণীর খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে।
ফলে মানবজাতি ও প্রাণিকুলে নানা ধরনের প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’বিজ্ঞানীরা মায়ের বুকের দুধে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাই প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে তাঁদের উদ্যোগী হতে হবে।প্লাস্টিকের মাইক্রোকণা নিউরনের সঙ্গে মিশে নিউরন, তথা মস্তিষ্ককে অকার্যকর করে তোলে। স্বাভাবিক চিন্তা শক্তিকে দুর্বল করে দেয়।প্লাস্টিক ও পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জন করতে হবে।প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে বলেন আগে দেখত, লোকজন বাজার- সদাই করতে খাড়াই (বাঁশ-বেতের ঝুড়ি), কাপড়, চট দিয়ে তৈরি ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতেন। এখন খালি হাতে যান। ফিরে আসেন পলিথিন, প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে। এটা বন্ধ করতে হলে আগের অভ্যাসে ফিরে যেতে হবে। তাহলে পলিথিনের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমে যাবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচরনামূলক অভিযানের অনুষ্ঠান শেষে কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করে ষষ্ঠ শ্রেণির মরিয়ম আক্তার, দ্বিতীয় স্থান দশম শ্রেণীর লাবিব হাসান, তৃতীয় সপ্তম শ্রেণীর মেহেরা আঞ্জুমান, প্রতিযোগিতায় প্রথম অষ্টম শ্রেণীর সওদা, দ্বিতীয় সপ্তম শ্রেণীর মেহেরা আঞ্জুমান, তৃতীয় সপ্তম শ্রেণীর নাফিস আঞ্জুমান, অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।