এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে ভয়ংকর খু’নি কাসেম বাতান।
ভোলা চরফ্যাশন উপজে’লার ভয়ংকর এক খু’নি-স’ন্ত্রাসী কাসেম বাতান ওরফে কাইশ্শা ডাকাত (৪৮)। তাঁর ভয়ংকর কর্মকাণ্ড খুলনার এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে। জে’লা পুলিশের শীর্ষ অ’স্ত্রধারী স’ন্ত্রাসীর তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। আবার দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও নিজেকে শ্রমিক নেতা দাবি করেন কাসেম বাতান। ১২টির বেশি (৮টি খু’ন) মা’মলা, শতাধিক জি’ডি থাকা কাসেম বাতানের কাছে প্রশাসন অসহায়। নিজ বাড়িতে বিচারালয়ের নামে বসিয়েছেন ট’র্চার সেল।
সেখানে বিচার-সালিসের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে চালানো হয় অবর্ণনীয় শারীরিক-মানসিক নি’র্যাতন। বিচারের নামে হাতুড়িপেটা করে হাত-পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়। থেঁতলে দেওয়া হয় শরীরের স্পর্শকাতর স্থান। এসব অপকর্মে লিপ্ত তাঁর সহযোগী ২০ জনের সশস্ত্র বাহিনী। কাসেম বাতান ও তাঁর বাহিনীর হাতে গত ১০ বছরে দুই শতাধিক মানুষ নির্মম নি’র্যাতনের শি’কার হয়েছেন। খু’ন হয়েছেন ৮ জন।
পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ১০ জন। ভয়ে-আ’তঙ্কে সহায়-সম্বল রেখে পরিবার নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে কয়েক শ পরিবার। কাসেম বাতানের স’ন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জি’ম্মি চরফ্যাশনের ৫০ হাজার মানুষ। দখল, চাঁ’দাবাজি, অ’স্ত্র ও মা’দক বাণিজ্য করে গড়ে তুলেছেন বিপুল অ’বৈধ সম্পদ।
চোখের পলকে খু’ন করেন : কাসেম বাতান ও তাঁর স’ন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে সর্বশেষ খু’ন হন চরফ্যাশন উপজে’লার শ্রমিক লিগের ওয়াড সভাপতি ও সম্পাদক সহ ৪জন মোঃআলাউদ্দিন(৩০), জাকির সিকদার(২৫), হারুন সিকদার(২৮) ও মহিন আলি গাজি। গত ২৩ মে ২০১৫ জিন্নাগর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডে কাসেম বাতান তার দল নিয়ে ডাকাতি করতে যায় ওই সময় আলাউদ্দিন ও জাকিরের ঘড়ে ডাকাতি করতে গেলে তারা বাদা দেয় তাই তাদের এলপাতালি ভাবে কুপিয়ে খুন করে কাসেম বাতান ও তার দল এদের খু’ন করেই ক্ষান্ত হননি কাসেম বাতান,লোভে পরে ভাইর জমিনের উপরে। তার আপন বড় ভাই ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সভাপতি কাজল মেম্বর ও তার ছেলেকে নির্মম ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলপাতালি ভাবে কোপানো হয় ১ মাস চিকিৎসা শেষে বেচে যায় কাজল মেম্বারের ছেলে, কিন্তু একটি চোখ হারায় কাজল মেম্বার কারো কাছে গিয়ে পায়নি বিচার জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে ক্রমাগত হু’মকি দিয়ে যাচ্ছে কাসেম বাতান ও তাঁর স’ন্ত্রাসী বাহিনী। এসব হু’মকির ঘটনায় কাজল মেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাজল মেম্বর বলেম ‘কাসেম বাতানের সন্ত্রাসীর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে ও আমাকে খুনের উদ্দেশ্য হামলা চালায় কাসেম বাতান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রভাবশালী মহলের মদদ পেয়ে উল্টো আমাকে ও ছেলেদের খ’ন করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। ভয়ংকর খুনি কাসেম বাতান কত মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, খুন করেছে, তার হিসাব মেলানো কষ্টকর। আমি বেঁচে থাকতে ওর বিচার দেখে যেতে চাই।’
২০০৭ সালের ২৮ জুলাই দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামে জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধে বিবি হনুফা এবং বিবি আয়শাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এই জোড়া খুনের ঘটনার মামলায় সিআইডির চার্জশীটভূক্ত ৮ আসামীর মধ্যে কাসেম বাতানের নামও রয়েছে
২০১৩ সালে খদেজাবাগ গ্রামে অজ্ঞাত মহিলার খুন
২০১৫ সালে ওসমানগঞ্জে জাহাঙ্গীর জমাদারের বাড়িতে ডাকাতি এবং চরফ্যাশন থানায় হামলা, সরকারী কাজে বাধা প্রদানসহ পুলিশকে মারধর মামলাসহ প্রায় ১২টির বেশি চাঞ্চল্যকর মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলায় কাশেম বাতানের গ্রেপ্তারের পর মানুষ তার উপর এত অতিষ্ঠ ছিলো যে দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের মানুষ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করে। এ সব মামলার আসামী হওয়া সত্বেও সে অবিরত তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মাদক ব্যবসার জন্য রয়েছে তার আরেকটি বাহিনী
কাসেম বাতানের
ভয়ংকর সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে কাজ করছে স্যালক ফারুক,সাহিদ,ছেলে সোহেল বাতান,ভাই সাহেআলম বাতান,আলম বাতান,,ভাতিজা খোকন বাতান সহ ২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। এরা সবাই চরফ্যাশন বাজারের চিহ্নিত খু’নি-স’ন্ত্রাসী।
জানা গেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে তার বাসা। খাস পুকুর নামে পরিচিত এলাকায় তার বসবাস। তিনি চালাতেন রিক্সা। ১৯৯৬ সালের আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন তার কোন অবস্থান না থাকলেও ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তার উত্থান হয়। রিক্সার হাতল ছেড়ে তিনি শ্রমীকলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ওই থেকে তিনি চরফ্যাশনে ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করেন। চরফ্যাশন পৌর মেয়র, মটর সাইকেল শ্রমীক সংগঠনেরর সভাপতি সোহাগ পণ্ডিত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম ম্যালেটারীর ছোট ভাই ডা. তোফাজ্জল হোসেন, জৈনিক ইউপির চেয়ারম্যান,এওয়াজপুর আওয়ামীলীগ নেতা ছালাম পাটওয়ারীর নিকট আত্মিয়সহ অসংখ্য লোক তার হাতে লাঞ্চিত হন। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে তোয়াক্কা না করে শুরু করেন বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ।