হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চিংড়ি সম্পদের উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের আয়োজনে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, চিংড়ি ডিপো মালিক আজিজ আহম্মেদ পুটু, ঘের ব্যাবসায়ি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান টুটুল, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সধারন সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, দৈনিক দৃষ্টিপাত সাংবাদিক আশেক মেহেদী, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল জেলা ম্যানেজার শঙ্কর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা সেফটি প্রকল্পের ম্যানেজার প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মৎস্য খাতের সমস্য ও সম্ভবনা করনীয় বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। কালিগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য ও প্রক্রিয়াকরন কারখানা ১টি ইইউ তালিকা মৎস্য প্রক্রিয়াকরন ১টি, মৎস্য অবতরন কেন্দ্র ৪টি, ডিপো/আড়ৎ ৬৩টি, বরফ কল ১০টি। কালিগঞ্জ সহ দক্ষিণঞ্চলে ৭০ এর দশকে অপরিকল্পিত ভাবে ঘেরে বাগদা চিংড়ী চাষ শুরু হয়। বর্তমান আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ী মাছ চাষ শুরু হলেও তার ধারাবাহিকতা সর্বত্র নেই। যার কারনে ঘের ব্যবসায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চিংড়ী চাষ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ঘেরের গভীরতা কম, পানি সরবরাহের জন্য আউট ড্রেন নেই, অপরিকল্পিত ঘের, দূর্বল পাড়, মানসম্পন্ন পোনার অভাব, খাদ্য সহ চাষের বিভিন্ন উপকরনে স্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সোনাতন পদ্ধিতিতে চাষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনে সীমাবদ্ধতা, চাষে পুজির অভাব, কারিগরি জ্ঞানের অভাব, ভাইরাস সহ বিভিন্ন কারনে চাষিরা সমস্যায় রয়েছে। এই সকল সমস্য উত্তরনের জন্য ওয়াকশপে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা হয়। ওয়াকশপে সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তা, ডিপো মালিক, ঘের চাষী, মৎস্য ব্যবসায়ী, পোন ব্যবসায়ী সহ সেফটি প্রকল্পের চিংড়ী চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।