আকরাম : আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কয়েকজন সাংবাদিকের উপর অতর্কিতভাবে হামলা ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫শে জানুয়ারী বিকালে সাভার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নে ফসলি জমি থেকে এলাকার প্রভাবশালী মহল জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটা গুলোতে বিক্রি করেছে। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে ক্লাবে আসার পথে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য পরিষদের সামনে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছিলেন এমতবস্থায় হঠাৎ কয়েকজন লোক এসে অতর্কিতভাবে সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, নজরুল ইসলামসহ উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় ও লাঞ্ছিত করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হামলাকারীরা পিছু হটে এবং স্থানীয়দের কাছ হতে হামলায় নেতৃত্বদানকারীর পরিচয়ে জানাযায়, শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য কলতাসুতি গ্রামের আব্দুল করিমের ভাই মাতাল রহিম।
আর করিম এবং রহিমের বিরুদ্ধে রয়েছেন এলাকার মানুষের শত শত অভিযোগ, মাতাল রহিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সংযোগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ জমি দখল গোয়ালবাড়ী বাজার সমিতির টাকা আত্নসাৎ জোরপূর্বক অন্যর ফসলি জমির মাটি ও সরকারী খাস জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা, রাতে হাজার হাজার টাকার জুয়ার আসর বসানো মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এলাকার স্থানীয়দের তথ্যমতে, কলতাসুতি গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম চিশতীর রাজনৈতিক প্রভাবে তার ভাই মাদক কারবারী নানা অপকর্মের হোতা মাতাল রহিম এলাকায় বিভিন্ন নিরীহ মানুষের জমি জালজালিয়াতি করে দখল মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা গ্রামে শালিস বিচারের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।
সাংবাদিকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা শিমুলিয়া ইউনিয়ন পারিষদের চেয়ারম্যান জনাব, আজাহারুল ইসলাম সুরুজকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, রহিম একটা বেয়াদব চৌদ্দ নম্বর লোক তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে আপনারা আইনের আশ্রয় নিন। সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা ও লাঞ্ছিত’র ঘটনায় আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক ফেডারেশন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং মাতাল রহিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি করেন।