যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী শেখ, পিপিএম ‘ক’ সার্কেল এর নেতৃত্বে কোতয়ালী থানার একটি টিম কর্তৃক ০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং ০২ জন আসামী গ্রেফতার।
……………………………………………………….
০১। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ-
অদ্য ২১/০২/২০২০ খ্রিঃ রাত ০৩.৩০ ঘটিকার সময় যশোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী শেখ, পিপিএম ‘ক’ সার্কেল, যশোর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ)/তাসমীম আলম, এসআই(নিঃ)/মোঃ সাইফুল মালেক, এসআই(নিঃ)/আনছারুল হক, এসআই(নিঃ)/মোঃ কামাল হোসেন, এএসআই(নিঃ)/আল মিরাজ, এএসআই(নিঃ)/মোঃ ফোরকান, এএসআই(নিঃ)/আঃ আজিজুল, এএসআই(নিঃ)/ মোঃ হাফিজুর রহমানসহ একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে কোতয়ালী থানাধীন সিরাজসিংহা গ্রামের ১। আব্দুল হক গাজী(৭২), পিতা-মৃত মোজাম গাজী ও ২। আব্দুল হালিম গাজী (৪৫), পিতা-আব্দুল হক গাজীকে (পিতা-পুত্র) গ্রেফতারের পর তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে একই গ্রামে তাদের বাড়ীর পাশে অবস্থিত গাজী পরিবারের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে ২টি পিস্তল (১টি ৯ এমএম ও ১টি ৭.৬৫), ১টি ওয়ান সুটারগান, ২টি পাইপগানসহ মোট-০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৫ রাউন্ড এসএমজির গুলি, ৩০ রাউন্ড ৯ এমএম ও ৭.৬৫ পিস্তলের গুলিসহ সর্বমোট-৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায় যে, যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন কুয়াদা-সিরাজসিংহা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ একটি সন্ত্রাসী প্রবণ এলাকা। যেখানে কুয়াদা বাজার সহ মনিরামপুর-যশোর রোডে নিয়মিত রোড ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ অন্যন্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। কুয়াদা বাজারে ডাকাতি, ছিনতাই, রোড ডাকাতির মত ঘটনা প্রায়শঃ ঘটতো। পুলিশের তৎপরতার ফলে এসব অপরাধ সাময়িকভাবে দমন থাকলেও এ সকল অপরাধীরা গোপনে গোপনে সংগঠিত হচ্ছিল মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। এ সকল অপরাধীরা নতুন কোন অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে সময় সুযোগের অপেক্ষায় অস্ত্র-গুলা-বারুদ আসামীদের পারিবারিক কবরস্থানে মজুদ রাখে বলে জানা যায়। এছাড়া এসব অস্ত্র আশপাশের বিভিন্ন জেলাতে অপরাধীদের কাছে ভাড়া দিত এবং একটি চক্রের মাধ্যমে অস্ত্র গুলি বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কাছে ক্রয় বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা যায়। এছাড়া কুয়াদা বাজারের আশপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট হতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিয়মিতভাবে চাঁদাবাজি করত বলে জানা যায়।
এই চক্রটির পিছনে পুলিশ দীর্ঘদিন যাবত নজরদারীতে রাখছিল। অবশেষে তারই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২১/০২/২০২০ খ্রিঃ রাত ০৩.৩০ ঘটিকায় আসামীদের নিম্নে বর্নিত অস্ত্র গুলাবারুদসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
০২। জব্দকৃত আলামতঃ-
১। ৯এমএম পিস্তল-১টি
২। ৭.৬৫এমএম পিস্তল-১টি
৩। ওয়ান শুটারগান-১টি
৪। পাইপগান-২টি
সর্বমোট-৫টি আগ্নেয়াস্ত্র।
গুলিঃ-
১। পিস্তলের গুলি-৩০ রাউন্ড
২। শর্টগানের শীশা বুলেট-৩৭ রাউন্ড
৩। এস,এমজির বুলেট-০৫ রাউন্ড
সর্বমোট-৭২ রাউন্ড গুলি।
০৩। আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ-
১। আব্দুল হক গাজী(৭২), পিতা-মৃত মোজাম গাজী, সাং-সিরাজসিংহা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
২। আব্দুল হালিম গাজী (৪৫), পিতা-আব্দুল হক গাজী, সাং-সিরাজসিংহা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
এ সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৬৬, তারিখ-২১/০২/২০২০খ্রিঃ, ধারা- ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(অ) রুজু করা হয়েছে।