লিয়াকত হোসেন, রাজশাহীঃ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্বরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার ও আসাদুজ্জামান আজাদ, সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড: মোঃ মোসাব্বিরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য আহসানুল হক পিন্টু সহ মহানগর ও থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্র্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো “ডকুমেন্টারী হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।