অনলাইন ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটি এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় নিম্ন আয়ের জনগণকে উপযুক্ত প্যাকেটের মাধ্যমে চাউল, ডাল, পেয়াজ, সাবান, ফলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে এই ভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোন ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সহায়তা প্রদান করে আসছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক In Aid to Civil Power এর আওতায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীও জরুরী বিমান পরিবহন এবং মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন (MEDEVAC) সহায়তা প্রদান করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই জরুরী অবস্থাতেও গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে রাঙ্গামাটির সাজেক ইউনিয়নের শেয়ালদহে হামে আক্রান্ত ৫ শিশুকে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়।
এখানে আরও উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরন করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রত্যেকটি ঘাঁটিতে করোনা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে যারা যে কোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল টিমের সাথে সমন্বিতভাবে সেবা প্রদান করবে। ইতোমধ্যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রভোস্ট পেশার বিমানসেনারা ঢাকার হাজী ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান করছেন। মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, বিমান বাহিনী তাদের নিজস্ব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, বিমান বাহিনী সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসা বহরগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তদোপরি, বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ তাদের সদস্যদের সতর্কতা অবলম্বন, তাদের করণীয় ও বর্জনীয়সহ সকল দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে।