“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ২৮ শে মার্চ, ২০২০ এ COVID-19 মহামারী সম্পর্কে তার চলমান প্রতিক্রিয়ার প্রয়াসে FDA হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন সালফেট এবং ক্লোরোকুইন ফসফেট পণ্যগুলি COVID-19-র আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিতরণ ও ব্যবহারের অনুমতির জন্য একটি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন (EUA) জারি করেছে।”
২০১৯ সালে ডিসেম্বর নাগাত SARS-Cov2 ভাইরাসটি চীনের উহান শহরে মারাত্মকভাবে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বের প্রায় ১৯৩টি দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যার ফলশ্রুতিতে WHO একে বৈশ্বিক মহামারি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমনে আমাদের শরীরে Immune cell এবং সাইটোকাইনের নিঃসরণ অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ফুসফুস, কিডনি, হৃদপিন্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমতবস্থায় সারাবিশ্বে ঔষধ বিজ্ঞানীরা খুঁজছেন এমন কোন প্রতিশেধক/প্রতিকারক যা অধিক সাইটোকাইনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম।
এমতবস্থায়, আশার আলো ফুটিয়েছে বেশ কিছু ঔষুধ (Favipiravir, Remdesivir, Chloroquine Phosphate, Hydroxychloroquine Sulfate, Azithromycin etc.) তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সব ঔষধের প্রাপ্যতা না থাকায় দুটি ঔষধ (Hydroxychloroquine Sulfate, Azithromycin) এমন মহামারী মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, যা ফুটে উঠেছে সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ দমনের বিভিন্ন গবেষণায়।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা (কোভিড-১৯) এ কিভাবে কাজ করে
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পর্যায়ক্রমে কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে, কোভিড-১৯ কে দমন করতে সক্ষম। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কোষ ঝিল্লির উপরে Ph পরিবর্তন করে কোষের সাথে ভাইরাসের সংযোগে বাধা প্রদান করে। এছাড়া হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিউক্লিক এসিডের প্রতিলিপি, ভাইরাল প্রোটিনের গ্লাইকোসাইলেশন, ভাইরাসের বন্টন, নতুন ভাইরাসের পরিবহন, ভাইরাসের অনুপ্রবেশ এবং সর্বপরি কোভিড-১৯ দ্বারা সৃষ্ট সাইটোকাইন স্ট্রোমকে বাধা দান করে কোভিড-১৯ সংক্রমন দমন করে।
যে কারণে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করা যাবে:
বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গেছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ক্লোরোকুইন অপেক্ষা কার্যকারীতার দিক থেকে উৎকৃষ্ট। কেননা-
১) হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন T-cell এ CD154 এর উপস্থিতি কমিয়ে সাইটোকাইন স্ট্রোমকে প্রতিরোধ করে কোভিড-১৯ এর বর্ধনশীলতা এবং কার্যক্ষমতা কমিয়ে থাকে।
২) হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এর ভাইরাস দমনকারী কার্যকারীতা সংক্রমন কমাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
৩) হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন একটি কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধ।
৪) করোনা ভাইরাসের সুলভ চিকিৎসায় শীর্ষে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন।
সেবনবিধি: কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে প্রথমদিন সকালে এবং রাতে ৪০০ মি.গ্রা. করে মোট ৮০০ মি.গ্রা. এবং পরবর্তী ৪ দিন সকালে ও রাতে ২০০ মি.গ্রা. করে মোট ৪০০ মি.গ্রা. খাবারের পরে সেবন করতে হবে।
নোট: হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এর সাথে চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা. প্রদান করতে পারে।
সহযোগিতায়:
আদনান কবীর
এম ফার্ম, ফার্মাকোলোজি এন্ড ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি
এক্সিকিউটিভ, ডেলটা ফার্মা লিমিটেড
ও
বিকাশ হালদার
এমএস, ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলোজি
এক্সিকিউটিভ, ডেলটা ফার্মা লিমিটেড
Reference: