রেজাউল ইসলাম:পিরোজপুরের জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের জরিপেরচর এলাকায় সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সৌদি প্রবাসী কামাল ঘরামীর গর্ভবতী গাভী সাতজনের একটি দূ্র্বৃত্তের দল তার উল্লেখ যোগ্য মাংস গুলো কেটে নিয়ে যায়। দেশের দূর্যোগকালীন এ পৈশাচিক বর্বরতায় মঠবাড়িয়ার সর্বস্তরের মানুষ নিন্দা ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় কামালের ঘরামীর শ্বশুর মনেছ সিকদার স্থানীয় থানায় বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে গতকাল মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহার নামীয় ১নং আসামী মুন্নাকে গতকাল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন। আজ বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই হুমায়ুন উত্তর মিঠাখালী নিবাসী আঃ হালিম মুন্সির ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯) কে এ চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জবেহকৃত ওই গরুর ১২ কেজি মাংস সহ ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তার বাড়ির সংরক্ষিত ফ্রিজ থেকে জব্দ ও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। অভিযুক্ত আসামী রবিউল ইসলাম সে সহ সাতজন চুরি ও গরু জবেহে জড়িত থাকার কথা থানা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
থানা অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মোঃ মাসুদুজ্জামান বলেন, মামলার ১নং আসামী মুন্না, সে একাধিক চার্জশিটভুক্ত চুরি মামলার আসামী। এ চক্রটি মঠবাড়িয়ায় উদিয়মান একটি চুরি চক্রের নতুন গ্যাং হিসেবে উত্থান হয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় আইনের আওতাধীন সর্বোচ্চ ধারা প্রয়োগ করা হবে।
আরও উল্লেখ্য যে, অফিসার ইনচার্জ এর সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে যে ,এতে রবিউল, মেহেদী হাসান, রাব্বি,ও মুন্নাসহ আরও তিন জন জরিত , কিন্তু বাকি তিন জনকে রবিউল চিনেনা বলে দাবি করছে।