শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী কালিগঞ্জে জাতীয় পাটির সভাপতি মাহবুবর রহমানের মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠিত ভূমিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্র গণপূর্তমন্ত্রীর সাথে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। কালিগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন আতাউল হক দোলন এমপি Jolpore.com অনলাইন বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা

যদি কেউ আমলে নেয়।।মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ১.০৭ পিএম
  • ২৪৩ বার পঠিত

বাংলাদেশের সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে অনিশ্চিত । এখন পর্যন্ত এই পেশায় যুক্তদের সুরক্ষার জন্য সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো আইন তৈরি হয়নি । রাষ্ট্র সংবাদ শিল্পের মালিকদের যতটা স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসে ঠিক ততোটা সাংবাদিকদের জন্য এগিয়ে আসে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার কখনো মনে হয়নি । দৈনিক পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থায় ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ এবং বিদ্যমান শ্রম আইন কার্যকর থাকলেও নানা অজুহাতে অনৈতিক কৌশলে মালিক পক্ষ কর্মরতদের বঞ্চিত করে । এ অপকর্মে অনেক সময় মালিক পক্ষ উচ্চ পদবীর সাংবাদিক ও কতিপয় সাংবাদিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে থাকেন । অন্যদিকে বিকাশমান ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরতদের জন্য কোনো ধরনের চাকুরি বিধি নেই । শ্রম আইন অনুযায়ী টেলিভিশনে কর্মরতদের কিছুটা আইনি সুরক্ষার ধারা উল্লেখ থাকলেও মালিক পক্ষ কোনো ভাবেই মানার চেষ্টা করেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। আত্মসমালোচনা করেই বলতে চাই ডিইউজের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে এ দায় অনেকটা আমার ওপরেও বর্তায়। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলকানা ও রাজনৈতিক মতাদর্শগত লেজুড়বৃত্তি পরিত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প আছে বলে আমি মনে করি না । বলতে চাই অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী পেশাগত জীবনে কোনো অর্থেই ভালো নেই । জেলা পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মিদের অবস্থা আরও খারাপ । তাদের নিয়োগ ,বেতন ভাতা ও দায়িত্ব নিয়ে আর একটা লেখা লিখবো । যাই হোক
আমার কাছে যতটা জানা আছে ঢাকায় পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শতকরা বিশ পার্সেন্ট গড়পড়তা বেকার থাকেন । মূলধারার দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশন ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামো স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ও বাবা মাসহ ঢাকা শহরে জীবন যাপন অসম্ভব । উপরন্তু ওই প্রতিষ্ঠান সমূহ নিয়মিত বেতন ভাতা দেয় না । কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছয় সাত মাসের বেতনও বাকি। দু একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানি যেখানে সাত বছরে সাত পয়সাও বেতন বৃদ্ধি পায়নি । এমন অবস্থা রয়েছে পেশাগত অধিকারের কথা বললেই বিনা বাক্যে চাকুরি নাই । চাকুরি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে মালিক পক্ষ আইন সিদ্ধ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে আদালতে যেতে কমফোর্ট ফিল করে । যেখানে একজন গণমাধ্যমকর্মীর শ্রম ঘামে মালিক লাভ করেন, রাষ্ট্রের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে ফুলে ফেঁপে ওঠে । কেউ কেউ কর্পোরেট পুঁজি রক্ষার জন্য গণমাধ্যমের মালিক বনে যান । সেই মালিক যাদের শ্রমে-ঘামে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণতা পায় তাকেই বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরিয়ে সুখ পায় ।
আবার কোনো সাংবাদিক এতো কিছু প্রতিকূলতার মধ্যেই তার দাবির স্বপক্ষে মামলায় বিজয়ী হয়ে যায় । টাকা পরিশোধে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে অধিক হয়রানি করার জন্য মালিক পক্ষ আবার উচ্চ আদালতে আপিল করে টাকার জোরে বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখে ।
এখানে উল্লেখ করা যায় বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম মালিকের নানা ধরনের মামলা থাকে এবং মামলা পরিচালনা করার জন্য নিয়োগ থাকে ডাকসাইটে আইনজীবী । এ অবস্থায় মালিক পক্ষ থেকে আর অতিরিক্ত ব্যয়ের কোনো আইনজীবী নিয়োগ প্রদান করা প্রয়োজন হয়না । উপরন্তু বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরে একটা রায় নিজের পক্ষে পাওয়ার পর মালিক পক্ষ উচ্চ আদালতে যে আপিল মোকদ্দমা দায়ের করেন সে আপিল মোকাবিলা করার জন্য যে ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া দরকার সেই সামর্থ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না ।
তার পর রয়েছে আদালতের নানা ধরনের জটিলতা । শেষ পর্যন্ত ওই মামলার রায়ের সুফল সাংবাদিকদের ভোগ দূরের কথা ভোগান্তির শেষ নেই ।
অন্যদিকে একজন গণমাধ্যমকর্মী আইনগতভাবে তার শ্রম বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলা দায়ের করেছেন একথা যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান জেনে যায় তাহলে পরবর্তীতে তার জন্য একটি চাকুরি যোগাড় করা কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় । এসব ভেবে অনেক গণমাধ্যমকর্মী নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েও মামলা থেকে দূরে থাকে । এর অর্থ দাঁড়ায় মালিকদের সুবিধা নিশ্চিত হয়ে যায় । একজন গণমাধ্যমকর্মী পেশাগত জীবনের সারাটা সময় জুড়ে সব শ্রেণী পেশার মানুষের অধিকার বঞ্চনার কথা তুলে ধরে সে ই কিনা তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় ক্রমাগত ।
করোনা পরিস্থিতির এই বিশ্ব মহামারীর সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থা অন্য যেকোনো শ্রেণী পেশার মানুষের চাইতে খুবই খারাপ । ইতোমধ্যে কমপক্ষে পাঁচ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । যেসব পত্রিকা অন লাইন ভার্সন খোলা রেখেছেন যতটা আমি জানি বুঝি তাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে ঘোষণা অনুযায়ী অনলাইন ভার্সনের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই । এবং এখন পর্যন্ত সরকার কোনো বিধি দ্বারা অনলাইন সংবাদ পত্রের অনুমতি প্রদান করেনি । সেই অনুযায়ী কয়েকটি পত্রিকা এ অবস্থার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে । জেনেছি প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে। কবে নাগাদ বকেয়া পরিশোধ করা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। মূলধারার পত্রিকা ও টেলিভিশন ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের এ পরিস্থিতিতে কিভাবে বেতন ভাতা পরিশোধ করবে সে সামর্থ্য অনেকের নেই । কারণ হিসেবে জানা গেছে টেলিভিশনের আয় বেসরকারি বিজ্ঞাপনের অর্থ অন্য দিকে সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকা সমূহের মূল আয় সরকারি দরপত্র বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপন বিল। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে পত্রিকা ও টেলিভিশনের জন্য বেতন ভাতা পরিশোধ করতে পারবে না কিংবা করবে না । আমি আগেই উল্লেখ করেছি আমাদের পেশাগত সাংবাদিকদের গড়ে শতকরা বিশ ভাগ বেকার । আগামী কতো দিন চলবে এই করোনা যুদ্ধ তার অনুমান নির্ভর নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাদের কারো পক্ষেই একটা চাকুরি যোগার করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না । একদিকে কম করে হলেও হাজার খানেক পেশাদার সাংবাদিক বেকার অন্য দিকে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ছোট বড় অধিকাংশ মিডিয়া হাউজ আর্থিক সংকটে আছে যার প্রথম ধাক্কাটা দেবে মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের বেতন বন্ধ করে দিয়ে।অথচ গণমাধ্যমকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে যথাযথ করোনা সুরক্ষা ছাড়াই যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো দায়িত্ব পালন করছেন।
সামনে রমজান-ঈদ, করোনা এলোমেলো করে দেয়া অর্থনীতির মেরামত পর্বে কিভাবে সাংবাদিক সমাজ মোকাবিলা করবে ?

 

আবু জাফর সূর্য

সাবেক সভাপতি

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
20212223242526
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com