অনেক হয়েছে এবার লকডাউন খুলে দিন না হলে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের চেয়ে ও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই আমাদেরকে কাজ করার সুযোগ দিয়ে জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দিন।
অনেক হয়েছে আর প্রকৃতির সঙ্গে ব্যাভিচার নয়।
করোনা আমাদেরকে যা শিখিয়ে দিয়ে গেছে তা বাস্তবায়ন করলে আগামী পৃথিবীতে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আসুন আমাদের এই পৃথিবী, আমরাই সুন্দর করে তুলি নিজেকে বাচাঁনোর জন্য।
করোনাভাইরাস কঠিন কোন রোগ নয় সাধারণ সর্দি কাশির মতো এ রোগে শতকরা ৯৮ ভাগ রোগী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।সুতরাং আতঙ্ক নয় করোনা মোকাবেলার সাহস শক্তি থাকতে হবে মনে।করোনা যেহেতু ছোঁয়াছুঁয়ি রোগ সে ক্ষেত্রে আমাদের কে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা যার যার কাজ বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাব।
এ বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে ছাত্র ছাত্রী কে অটোপ্রমোশন দেওয়া হবে।
১৫ বছরের নিচের ছেলে মেয়েরা ঘর থেকে বেরোতে পারবে না।
৬৫ বছরের উপরে বৃদ্ধরা ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।
অযথা যাদের কাজ আছে তারা ছাড়া বাসা থেকে অন্যরা বের হওয়া যাবেনা।
দোকানে আড্ডা দিয়ে সময় কাটানো যাবে না।
স্বাস্থ্য সচেতন বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
প্রত্যেক বাড়িওয়ালাদের গ্যাস বিল ,কারেন্ট বিল, পানির বিল মওকুফ করতে হবে।
যে সব বাড়িওয়ালাদের হোম লোন আছে তাদের লোনের কিস্তি ১ বছর পিছিয়ে দিতে হবে।
বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া ফিফটি পার্সেন্ট মওকুফ করে দিবেন, তবে যেসব বাড়িয়ালাদের লোন আছে তাদের নয়।
মসজিদে আমরা সীমিত মুসল্লী নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখ
নামাজ পড়তে পারি।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সভা-সমিতি নিষিদ্ধ থাকবে সারা বছর।
বিনোদনের পার্ক সারা বছর বন্ধ থাকবে।
আমরা সবাই যার যার একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত অতিরিক্ত ব্যয় করিব না।
ফ্যাশন বাদ দিয়ে নরমাল জীবনযাপন করতে হবে সবাইকে।
বিশলক্ষ টাকার উপরে যে সমস্ত গাড়ির দাম রয়েছে সে সমস্ত গাড়ি গুলো সরকারের চীজ করে নিবে।
এক পরিবারে একের অধিক গাড়ি থাকবে না।
বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করা যাবেনা চট্টগ্রামের গাড়ি তৈরির কারখানা প্রগতি থেকে সবার গাড়ি কিনতে বাধ্য করা হবে।
গাড়ি আমদানিকারকদের লাইসেন্স বাতিল করা হোক।
মন্ত্রী-এমপিদের শুল্ক বিহীন গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করা হোক।
দেশের হাসপাতাল গুলোতে মান বৃদ্ধি, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণা, চিকিৎসকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে হবে।
দেশে আপাতত উন্নয়নের কাজ বন্ধ রেখে প্রতিটি পরিবারের জন্য রেশন কার্ড চালু করতে হবে।
এই মুহূর্তে এক বছরের জন্য দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ব্যয় ক্ষমতা কমাতে হবে
গার্মেন্টসের মালিকদের তাদের গার্মেন্টস এর ভিতরে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবস্থা করতে হবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
দেশে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে কতিপয় লোক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।
রাষ্ট্রকেই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।
কতিপয় দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত হতে হবে।
দলীয় নেতা-কর্মী ,চেয়ারম্যান, মেম্বার যারা ত্রাণ সামগ্রী লুটপাট করছে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
উপরের কতিপয় সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করলে আমরা আবার করোনা মুক্ত শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করব।
মোঃ আবদুর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক:
তৃণমূল বার্তা ও হ্যালো ঢাকা নিউজ।।