অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমরা এক ‘বদলে যাওয়া’ পুলিশ বাহিনীকে দেখেছি। অতীতের শত গ্লানি মুছে যেন ক্রান্তিকালের যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার বাইরে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের এই সময়ে কি করছে না পুলিশের সদস্যরা ? লকডাউনের মাঝে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কার্যকর করা থেকে শুরু করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফন পর্যন্ত করছে তারা।
এমনকি দুস্থ-অসহায় মানুষের ঘর পর্যন্ত খাবার পৌঁছে দেয়ার মত কাজও করে চলেছেন আমাদের পুলিশ। হ্যাঁ, ভয় কে জয় করে ‘সম্মুখযুদ্ধে’ কাজ করা অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য এরইমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবুও থমকে যায়নি, পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সচেতনতামূলক নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে এ দুর্দিনে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে আমাদের গর্বিত পুলিশ বাহিনী।
তাদের নানান কাজের মধ্যে সচেতনতামূলক ও এক অভিনব কাজ করতে দেখলাম ফরিদপুরের পুলিশকে! তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে সচেতন করতে লাঠি-বন্দুকের বদলে হাতে তুলে নিয়েছেন রঙ-তুলি! যে রঙ-তুলির আঁচড়ে ফরিদপুরের সড়কে সড়কে আঁকা হচ্ছে করোনাভাইরাস সাদৃশ্য আলপনা।
‘মানুষ যেন ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ হয়’ সেজন্যই সড়কে এমন আলপনা আঁকা হচ্ছে বলে জানান, ফরিদপুর পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম।
এই কর্মকর্তা এও জানিয়েছেন যে, ‘আলপনা আঁকার পাশাপাশি ফরিদপুর পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যারোডি গান শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে মানুষ আনন্দের সাথে ঘরে থাকার বিষয়ে সচেতন হতে পারে।’