উজ্জ্বল রায় :পবিত্র রমজান উপলক্ষে নড়াইল জেলায় টিসিবির(ট্রেডিং
কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) ৩৩ ডিলারের মধ্যে মাত্র ১৪ জন ডিলার টিসিবি পণ্য
উত্তোলন করেছেন। করোনা প্রভাবে খুচরা বাজারে বিভিন্ন পণ্য চড়া মূল্যে
বিক্রি হওয়ায় টিসিবি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সব ডিলার টিসিবি পণ্য
উত্তোলন না করায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি হয়ে মানুষ টিসিবি পণ্য
কিনছে। ফলে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা প্রভাব এবং পবিত্র রমজান মাসে নিত্য
প্রয়োজনীয় কিছু ভোজ্য পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে টিসিবি পণ্য
বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলায় মোট ৩৩ জন টিসিবি ডিলার রয়েছে। সেখানে রোববার
(২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সদরে ৮জনের মধ্যে ৫জন, লোহাগড়ায় ১৪ জনের মধ্যে ৬জন
এবং কালিয়ায় ১১জনের মধ্যে ৩জন পণ্য তুলেছেন।
জানা গেছে, খুচরা বাজারে এক কেজি ছোলা ৭৫ টাকা, মসুর ডাল ৯০ টাকা, চিনি
৬৫টাকা এবং ১ লিটার সয়াবিন তেল ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে এক কেজি
ছোলা ৬০ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা, চিনি ৫০টাকা এবং এক লিটার সয়াবিন তেল ৮০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে টিসিবি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে।
এতো কম ডিলার পণ্য তোলার কারণ সম্পর্কে এক ব্যবসায়ী বলেন, টিসিবর পণ্যে
লাভ কম এবং আনুসঙ্গিক খরচ বেশী। যারা স্থায়ী মুদি ব্যবসায়ী, তাদের পক্ষে
টিসিবি পণ্য আনা এবং বিক্রি করা সহজ। আর সারা বছর অন্য কোনো ব্যবসা না
করে শুধু ঈদের পূর্বে দুই বার টিসিবি পণ্য এনে খুব একটা লাভ হয়না। ফলে
টিসিবির ডিলাররা পণ্য তুলতে চান না। তবে যারা ভ্রাম্যমান ট্রাকে করে
টিসিবি পণ্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে তাদের বরাদ্দ বেশী হবার জন্য তাদের
পুষিয়ে যায়।
টিসিবি খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোঃ রবিউল মোর্শেদ বলেন, যেসব ডিলার টিসিবি
পণ্য তুলছেন না জেলা প্রশাসনের সুপারিশক্রমে তাদের ডিলারসিপ বাতিল করে
নতুন কাওকে দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন।