অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ৭ জন হাসপাতালে, বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। এদিকে, সব থেকে বেশি করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে যশোর জেলায়। আর সাতক্ষীরা জেলা রয়েছে সব থেকে কম, মাত্র একজন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগে কোভিড-১৯ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১২জন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি যশোর জেলায় সেখানে আক্রান্ত ৪৪ জন। এরপরই ঝিনাইদহে ২১ জন, নড়াইলে ১৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১১ জন, খুলনায় ৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৭, মাগুরায় ৪, মেহেরপুরে ২ ও বাগেরহাটে ১ জন রোগীর শরীরে করোনা সনাক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় একজন করে সনাক্ত হলেও সাতক্ষীরা জেলায় আক্রান্ত একমাত্র ব্যক্তি যশোরে তার কর্মস্থলে আক্রান্ত হওয়ায় সাতক্ষীরা রয়েছে সবার নিম্নে।
এছাড়া বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২৩ হাজার ৪৮৬ জন, এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭১ জন। বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১ হাজার ৫৯২জন। এর মধ্যে খুলনায় আছে ৩২ জন। এর ১২ জনই চিকিৎসক, যারা খুলনার একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র পেয়েছে ৯৪৬ জন। আইসোলেশনে ছিলেন ২৭৮ এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ১৬০ জন রোগী।
সূত্র মতে, খুলনা বিভাগের সবকটি জেলা এখন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। যদিও সাতক্ষীরা জেলায় আক্রান্ত একমাত্র ব্যক্তি যশোরে কর্মস্থলে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় চিকিৎসাধীন। এ কারণে এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা মুক্ত দেখানো হয়েছে। তবে সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন জানান, তিনি সাতক্ষীরা সদরে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, বিভাগের খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নুর আলম খান এবং গত ২২ এপ্রিল মেহেরপুরে ইদ্রিস সাহা নামে একজন মারা যান। পরে পরীক্ষা করে তার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। (সূত্র: মানবজমিন)