তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ বাংলাদেশ একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, দুর্ভিক্ষের দেশ ছিল কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীর মানুষ আজকে আতঙ্কগ্রস্ত। প্রথমে এটি চীনে শুরু হলেও এখন পৃথিবীর সকল দেশেই করোনার সংক্রমণ রয়েছে। তার জন্য অনেক দেশে লকডাউন হয়েছে, শিল্প কারখানা বন্ধ, পরিবহন বন্ধ, দোকানপাট বন্ধ। অর্থাৎ অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটা চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই অর্থনীতির মাঝে বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। ফলে খাদ্য সংকট হতে পারে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা ইতিমধ্যে বলেছে অনেক দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। তাই আমাদের হাওরের এলাকায় এই সময়ে ধান কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান ফসল ধান, কিন্তু এই বোরো ধানটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক বছর দেখেছি প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে এখানে আগাম বন্যা হয়, বন্যা হয়ে পুরো হাওর এলাকার ধান নষ্ট হয়ে যায়। ১৭ সালে দেখেছি ১১ সালে দেখেছি এই সরকারের আমলে দুইবার আমাদের অনেক দু:খজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ধানটি যদি আমরা হারাই তাহলে সারা দেশে উৎপাদনের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। এই জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষদের সাথে আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি। গত বছর বোরো ধান করে চাষিরা দাম পাইনি। এজন্য তারা আমাদের ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। এই বছর ন্যায্য মূল্য দিয়ে গত ২৭ এপ্রিল থেকে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এই ধান কেনাবেচা নিয়ে কোন অনিয়ম হবেনা। কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী আসবে না। আসার কোন সুযোগ নাই। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদেরকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। সেই তালিকার ওপর লটারি হবে। সেই লটারিতে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-সিলেট মহিলা সাংসদ সদস্য অ্যাড. শামিমা শাহরিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো.শাহজাহান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ,পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
সূত্র: ইত্তেফাক