আগামিকাল ১ মে থেকে ৭ মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ। সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষায় দেশে চতুর্থ বারের মত এ সপ্তাহটির আয়োজনে তেমন কোন আয়োজন থাকছেনা। সীমিত ও স্বল্প পরিসরে কেবল সপ্তাহটি উদযাপিত হবে বলে আয়োজক সংগঠন বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সপ্তাহটি উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর দেশবাসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দাবি ও অধিকার আদায়ে সক্রিয় থাকারও আহবান জানানো হয়। মহামারী করোনা থেকে মানুষকে মুক্তির জন্য সচেতনতামূলক সংবাদ প্রকাশের আহবান জানানো হয়।
আহমেদ আবু জাফর জানান, বিভিন্ন শ্রেনীপেশার বিভিন্ন দিবস ও সপ্তাহ রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের কোন সপ্তাহ নেই। বিএমএসএফ’র আয়োজনে বিগত ৪ বছর ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গণমাধ্যম সপ্তাহের গুরুত্ব তুলে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া গণমাধ্যম সপ্তাহ উপলক্ষে মে মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীও রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যে কেউ বিএমএসএফ’র সদস্য হতে চাইলে ফরম পূরণ পূর্বক সদস্যপদ গ্রহন করতে পারবেন।
এবছর চতুর্থবারের মত সপ্তাহটি উদযাপন হবে। দেশে চলমান মহামারী করোনা দূর্যোগের কারনে কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকছেনা। জেলা-উপজেলা শাখাসমুহের আয়োজনে সাংবাদিক-পত্রিকার হকার ও দু:স্থ মানুষের মাঝে সাধ্যমত খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার জন্যও বলা হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ গুরুত্ববহন করে। সমাজের নানা শ্রেণীপেশার লোকজনের বিভিন্ন দিবস ও সপ্তাহ রয়েছে। ওই দিবস ও সপ্তাহের ইস্যুতে তারা নিজ পেশার অধিকার, দাবি ও মর্যাদার লড়াই করে থাকেন।
মূলত: বিএমএসএফ সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়ন, পেশাগত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার দাবীতে ১৪ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই ১৪ দফাই সাংবাদিকদের পেটের ক্ষুধা, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা রক্ষার কবজ।
২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১ মে থেকে ৭ মে গনমাধ্যম সপ্তাহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে জেলা-উপজেলা থেকে বিগত বছরগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বিএমএসএফ।
বিগত বছরগুলোতে সপ্তাহ ব্যাপী নানা আয়োজনের শেষের দিন ৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে জাতীয় সমাবেশ।