মোঃ মনির হোসেন শাহীন :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম মিয়া ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ গত ৩০ শে এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়।
জানা যায়- গত ৫ ও ৬ মে পরপর দুইদিন করোনা টেস্টে পিতা-পুত্রের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
টানা ১১ দিন আইসোলেশনে থাকার পরে রবিবার (১০ মে) সকালে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পিতা-পুত্র দুজনই। তারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলে এলাকার প্রতিবেশীরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এই ব্যাপারে করোনা জয় করে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরত আসা নূর মোহাম্মদ জানান- আল্লাহ্’র অশেষ কৃপায় ও রহমতে আমি ও আমার বাবা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি। আমাদের এই বিপদের সময় উপজেলা প্রশাসন, কর্তব্যরত ডাক্তার, আমার গ্রামের লোকজন সহ যারা আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি আরো বলেন কর্তব্যরত ডাক্তার আমি ও আমার বাবাকে আলাদা আলাদা রুমে আরো ১৪ দিন হোম কোয়ারাইটাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম জানান, নবীনগরে একই পরিবারের করোনা আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে পরিবারের প্রথম যেই দুইজন আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে এসেছেন। এ পরিবারের সকল সদস্য সকলের সুস্থতা ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তাদের প্রতিবেশী গ্রামের বাসিন্দা নবীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম কে জসিম উদ্দিন বলেন,জাফরপুর ও বাছিদপুর দুই গ্রামের মানুষ করোনা সচেতনতামূলক ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তারপরও আমাদের এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে গেছেন।
যাই হোক আমরা দুই গ্রামের মানুষ ওদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোন রকম স্বার্থ ছাড়াই।
মানবিকতা ও সামাজিকতার প্রয়োজনে।
কিন্তু এই অবস্থায় এলাকাবাসীর আচরণে আমরা হতাশ।
এভাবে যদি আমরা আতংকিত হয়ে অমানবিক আচরণ করি তবে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।
তারপরও আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি,মহান প্রভু আমাদের সহায় করেছেন।
উলেখ্য, ৩০ শে এপ্রিল পিতা-পুত্রের করোনা পজেটিভ হবার পর ৪ মে একই পরিবারের আরো ১০ জন সহ মোট ১২ জনের করোনা আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র নবীনগরে আতঙ্ক বিরাজ করে। অবশেষে পিত্রা পুত্রের সুস্থ্য হওয়ার খবরে ও ঐগ্রামে আর নতুন কোন করোনা রোগী সনাক্ত না হওয়ায় উপজেলায় স্বস্থির বাতাস বইছে।