আন্তঃজেলা ও উপজেলা সীমান্ত প্রবেশ দ্বারে সার্বক্ষণিক চেকপোস্ট থাকবে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও অন্যান্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এনজিও কর্মী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ মুহূর্তে দেশের কোন জেলা থেকে কেউ এ জেলায় না আসেন সে বিষয়ে সম্মানিত জেলাবাসী আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আপনারা তাদের জানিয়ে দিন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এ সিদ্ধান্তের কথা। নিজের স্বার্থেই এ দায়িত্ব পালন করুন। আপনি ভালো থাকলে জেলা ভালো থাকবে। সম্মিলিত উপায়ে করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রবেশ পথ- বাইপাস সড়কের প্রবেশ পথ,যশোর রোড, থানা ঘাটা – ত্রিশমাইল খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক, লাবসা – Rk School এর পথ,আলিপুর চেকপোস্ট,ফড়িং – গাভা ব্রীজ,আলিপুর মোজাফফর গার্ডেন রোড,ধুলিহর সুপারিঘাটা ব্রীজ,আশাশুনি ধুলিহর প্রবেশ পথ,মাছখোলা ব্রীজ এসব স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া জেলায় প্রবেশ পথ কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া যশোর মহাসড়ক – বেলতলা,দেয়াড়া ত্রিমোহিনী,জয়নগর শরশকাটী নদীপারাপার বন্ধ থাকবে। তালা উপজেলার খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক,কুমিরা কেশবপুর সড়ক,ধানদিয়া চৌরাস্তা, সরুলিয়া কোমরপুর খেয়াঘাট,যাতপুর বাজার,তালা মুক্তিযোদ্ধা কলেজ রোড,তালা সদর মাগুরা ব্রিজ,তালা সদর ঘোষনগর খেয়াঘাট বন্ধ থাকবে।
আশাশুনির বাঁকা ব্রিজ- দরগাপুর,বড়দল- চাঁদখালী ব্রিজ,খাজরা খেয়াঘাট,প্রতাপ নগর দশানী খেয়াঘাট,চাকলা।
শ্যামনগর খুটিকাটা খেয়াঘাট – পদ্মপুকুর,জেলেখালি খেয়াঘাট – গাবুরা,উত্তর বেতকাশি – গাবুরা খেয়াঘাট এসব এলাকার সড়ক ও নৌপথে সরকার নির্ধারিত ব্যতিক্রম ব্যতীত জন চলাচল এবং যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। থাকবে চেকপোস্ট ও কড়া নজরদারি।
বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও অন্যান্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সহযোগিতায় থাকবে সংশ্লিষট উপজেলা, জেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এনজিও এবং স্বেচছা সেবকেরা জেলা প্রশাসনের পরিচয় পত্র বহন করবে। সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। কেউ ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।