মোঃ এনামুল হক :ঢাকার উপকন্ঠ শিল্পান্চল আশুলিয়ার টাট্টিবাড়ি এলাকার শেখ ফরিদ নামের এক অসহায় যুবক স্ত্রীও সংসার ফিরে পেতে ও তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান কে বাঁচাতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীওই যুবক।
অভিযোগ কারি যুবক শেখ ফরিদ বলেন যে দীর্ঘ প্রায় এক বছর আগে মুসলিম সরিয়াহ মোতাবেক ভোলা জেলা ও ভোলা থানার পরানগন্জ ইউপির গুপ্তমুন্সি গ্রামের মৃত মজিবুররহমানের পুত্র সাইফুল ইসলামের কন্যা সাদিয়া বেগম কে বিবাহ করি।
এবং সুখে শান্তিতে দিন যাপন করি এরি সুবাদে আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে, এরই সুবাদে আমার শশুর বিভিন্ন সময়ে তার এলাকায় আমার স্ত্রী সাদিয়ার নামে জমি ক্রয় করবে বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাও নেয় আমার কাছ থেকে।
এক পর্যায়ে তিনি আমার কাছে আরো কিছু টাকা দাবি করলে আমি তাকে জানাই এ মুহুর্তে আমার কাছে টাকা পয়শা নেই, এর পর থেকেই আমার শশুর বিভিন্ন টাল বাহানা শুরু করে।
এবং আমার স্ত্রীকে বলে যে তোকে ওই স্বামীর করাবো না তিনি আরো বলেন তোর গর্ভের সন্তান কে নষ্ট করে ফেল, আমার স্ত্রী তাতে রাজি না হলে তিনি বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়গ করতে থাকেন তখন আমি ও আমার স্ত্রী নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় আমার শশুরের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করি।
সাধারণ ডায়েরিটি করার পর আমার শশুর হটাৎ করে নম্র ও বিনয়ি আচরণ শুরু করে তিনি বলেন আমি তোমার সমন্ধি রানাকে ঢাকায় পাঠাই, আমাদের একমাত্র মেয়ে প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে যার কারনে আমরা সবাই খুব খুশি তুমি সাদিয়াকে রানার সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দাও, ওর এ মুহুর্তে বিশেষ যত্নআত্তি দরকার আমি তার কথা বিশ্বাস করে আমার স্যালক রানার সাথে আমার স্ত্রীকে নগত কিছু টাকা সহ কিছু গহনা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।
এবং রানা সহ আমার স্ত্রী তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় চলে যায়, ভোলায় যাওয়ার পরে আমার শশুর সাইফুল ইসলাম সহ আমার শাশুরি নাছিমা বেগম ও স্যালক জুয়েল রানা ও রায়হানের যোগসাজশে নতুন করে গোপন চক্রান্ত শুরু করে এবং নানান টালবাহানা করতে থাকে।
হটাৎ আমার স্ত্রী একদিন আমার মোবাইল ফোনে কল করে জানায় যে আমার শশুর শাশুরি ও স্যালক দয় তারা পরস্পরের যোগ সাজশে আমার স্ত্রীকে অবৈধ ভাবে ও জোর পুর্বক গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে ভোলা নিয়ে যেতে চাপ প্রয়গ করছে।
এমন পরিস্থিতে আমার স্ত্রী আমাকে ভোলায় গিয়ে তাকে নিয়ে আসার অনুরোধ করেন, এরপর আমি কয়েকবার আমার শশুরের মুঠো ফোনে যোগা যোগ করলে তিনি ফোন রিছিভ করে অসংলগ্ন মুলক কথাবার্তা বলেন, পরে আমি এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভোলা যাই আমার শশুরালয়ে, কিন্তু তিনি আমার স্ত্রীকে আমার সাথে আসতে না দিয়ে নানান ধরনের কথা বার্তাও হুমকিধামকি দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে আমি আমার স্ত্রীসহ ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হলে আমার শশুর শাশুরি স্যালক সহ অতর্কিত ভাবে হামলা করার চেষ্টা করে আমি ও আমার স্ত্রীর উপর।
হামলা করার চেষ্টা করলে স্থানিয় রতন মোল্লাহ সহ উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপে আমি হামলা থেকে রক্ষা পাই, পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে আমি ঢাকায় চলে আসি।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম কে তার ব্যাক্তিগত মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অসংলগ্ন মুলক কথাবার্তা বলে তড়িঘরি করে ফোন কেটে দেয় এ ব্যাপারে কথা হয় প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বড় পুত্র রুবেলের সাথে তিনি বলেন দেখুন আমার বাবা মা আমার কথা শুনে না এবং এখানে মেয়ে না দেয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি এটা আমার বাবার বাড়াবাড়ি।
সাধারন ডায়েরি সম্পর্কে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই মুহিত বলেন যে তদন্ত প্রতিক্রিয়াধীন রয়েছে তদন্ত শেষে আইনুনুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।