কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১ মে বৃহস্পতিবার ১৬২ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। এতে ১৭ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ এসেছে। এছাড়া ৮ জন রামু ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল এবং ১জন চকরিয়া ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পুরাতন করোনা রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। বাকী ১৩৬ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২১ মে বৃহস্পতিবার ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ১৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে ১৬ জন কক্সবাজার জেলার। অবশিষ্টজন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১২ জন ও উখিয়া উপজেলায় ৪ জন। এছাড়া একইদিন ৩জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর দেহেও করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। যা ১৬২ জনের হিসাবের মধ্যে নেই। এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় বৃহস্পতিবার ২১মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৭৪ জন। এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ৮৫ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৮৫ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২৭ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১৩ জন, উখিয়া উপজেলায় ৩৩ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৯জন, রামু উপজেলায় ৫জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ১৩জন। এদিকে রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহর স্ত্রী ছেনু আরা বেগম ৩০ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই নারী কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা প্রথম রোগী। ইতিমধ্যে ৫৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।